ভারত ২০২২-২৬, এই চার বছরের জন্য ইউনেস্কোর ২০০৩ কনভেনশন অফ দ্য সেফগার্ডিং অফ দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ (আইসিএইচ)-এর কমিটিতে স্থান পেয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে ভারত দু'বার আইসিএইচের সদস্য ছিল। প্রথমবার ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত। দ্বিতীয়বার ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এক টুইটে জানিয়েছেন, 'দেশ বর্তমানে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। এই সময়ে, ভারত ইউনেস্কোর দুটি বিশেষ কমিটির সদস্যপদ পেল। একটি ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। যার সদস্যপদ থাকবে ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আর, দ্বিতীয়টি হল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। যার মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত। এর ফলে ভারত 'বসুধৈব কুটুম্বকম'-এর মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার আরেকটি সুযোগ পেল।'
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষার জন্য ইউনেস্কোর কমিটিগুলো কাজ করে। পাশাপাশি, এর কাজ হল ইউনেস্কোর উদ্দেশ্য প্রচার করা। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষায় ইউনেস্কোর ভূমিকাকে তুলে ধরা। যে সব স্থান ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায়নি, সেই সব স্থানেরও প্রতিও নজর রাখা। শিলালিপি-সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যের সুরক্ষার দায়িত্ব নেওয়া। ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রদান।
আরও পড়ুন- ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা জনসনের, তবে কাজ চালাবেন আরও কিছু দিন
একটি বিবৃতিতে, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে যে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপে চারটি আসনের জন্য ভারত, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তার মধ্যে ভারত ১৫৫টি দেশের মধ্যে ১১০টি ভোট পেয়েছে। ইউনেস্কোর এই কমিটির সদস্যসংখ্যা ২৪। ভারত ইতিমধ্যেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোর সুরক্ষার জন্য একটি স্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করেছে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত নতুন কমিটিতে থেকে সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণে জোর দেবে। পাশাপাশি, ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোও থাকবে ভারতের অন্যতম লক্ষ্য। এই সব ঐতিহ্য নিয়ে যাতে গবেষণা আরও বেশি করে করা সম্ভব হয়, সেদিকেও দেওয়া হবে নজর। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এই কমিটিতে থাকার সুবাদে বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতি রক্ষায় ভারতের অগ্রণী ভূমিকাকেও তুলে ধরতে পারবে নয়াদিল্লি। এমনটাই মনে করছেন সংস্কৃতি মন্ত্রকের কর্তারা।
Read full story in English