ভারত বিরোধী কাজে মদত ও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন কানাডার কূটনীতিকরা। এই অভিযোগে এবার, কানাডার উচ্চপদস্থ কূটনীতিককে ৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দিল বিদেশ মন্ত্রক।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দাবি, কানাডার নাগরিক ও খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার নেপথ্যে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। এরপরই সোমবার (১৮.০৯.২০২৩) ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানান কানাডার বিদেশমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ভারত কানাডার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে।
ট্রুডোর বেঁকা মন্তব্যের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নরেন্দ্র মোদী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, 'কানাডার ছত্রছায়ায় খলিস্তানিরা নিরাপদ আশ্রয় বসবাস করছে ও ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কানাডার নেতারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কেবল সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনওদিনই পদক্ষেপ করেনি কানাডার প্রশাসন। কানাডাতেই খুন, মানব পাচার-সহ একাধিক অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি খালিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এমন অযৌক্তিক কথা বলছেন। কানাডার অভ্যন্তরে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই। তাঁদের দেশের মাটিতে বসে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করা হোক।'
কানাডা থেকে ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের পরেই সেদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সদর দপ্তরে। সেখানেই জানানো হয়, এক আধিকারিককে পাঁচ দিনের মধ্য দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।