নিস্তার নেই। চলতি বছরই করোনার চতুর্থ ঢেউ প্রত্যক্ষ করবে দেশ। আইআইটি কানপুরের ম্যাথমেটিক্স এবং স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের গবেষণায় এমনই সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কোভিডের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার সময়কাল প্রথমে আইআইটি কানপুরের তরফেই প্রকাশ করা হয়েছিল।
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, চলতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা যাবে। সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে ১৫ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। এই তরঙ্গের প্রকোপ কমবে অক্টোবরে। এই তরঙ্গের ভয়াবহতা নির্ভর করবে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্টের চরিত্রের উপর। ভাইরাস যদি আবার রূপ বদলে নতুন কোনও স্ট্রেন হাজির করে, সেক্ষেত্রে তা চতুর্থ ঢেউকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া দেশের কত মানুষ টিকা পেয়েছেন ও কতজন বুস্টার ডোজ পেল, তার উপরেও ভাইরাসের ভয়াবহতা নির্ভর করবে।
ডিসেম্বরেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। নতুন ভেরিয়ান্ট ওমিক্রন ভারত দাপিয়েছিল। যা করোনার সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ বলে পরিচিত। পরিস্থিতি সবেমাত্র নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। তার মধ্যেই ফের চতুর্থ ঢেউ-য়ের ভ্রুকুটির কথা শোনাল আইআইটি কানপুরের গবেষকরা। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমিতের হদিশ মিলেছিল। তারপরই প্রথম ঢেউ মাথাচাড় দেয়। করোনার চতুর্থ ঢেউ-য়ের সময় নিয়ে আইআইটি-র গবেষণা বাস্তবায়িত হলে তা প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে চতুর্থ তরঙ্গের ব্যবধান হবে ৯৩৬ দিনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগেই জানিয়েছে যে, ওমিক্রনই করোনার শেষ প্রজাতী বা ভ্যারিয়েন্ট নয়। আরও রূর বদলাবে করোনা ভাইরাস। যার জেরেই বিশ্বে চতুর্থ ঢেউ মাথাচাড়া দেবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবোয়েতে তরোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, জিম্বাবোয়ের তথ্য পর্যাচোলনা করেই ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্ভাবস মিলেছিল। এবারও একইভাবে ওই দেশের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যাতেই ইঙ্গিত মিলছে যে, আগামী জুন থেকে অক্টোবর দেশে কোভিড চতুর্থ তরঙ্গ মাথাচাড় দেবে।
Read in English