পাবজি সহ ১১৮ মোবাইল অ্যাপ এ দেশে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, 'দেশের সাবভৌমত্ব, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা ও রাষ্ট্রের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ১১৮ মোবাইল অ্যাপকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।'
2, 2020
এর আগে টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ার-ইট, উই-চ্যাট, ক্যামস্ক্যানার-সহ ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সব অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই অ্যাপ-নির্মাতাদের তালিকায় রয়েছে টেনসেন্ট, আলিবাবা, শাওমির মতো একাধিক চিনা সংস্থা।
গত জুলাই মাসের শেষ দিকে ৪৭ চিনা ক্লোন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে নয়াদিল্লি। এ ক্ষেত্রেও কারণ হিসাবে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০০৯ সালের তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারা অনুসারে ভারতে ১১৮ মোবাইল অ্যাপের উপর নিষেজাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিনের আইন অনুসারে সেদেশের সব অ্যাপ সংস্থাগুলো চিনা গোয়ান্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানে বাধ্য। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।
জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষের পরই দুই ধাপে একাধিক জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে ফের উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। তার মধ্যেই ফের চিনা বংশদ্ভুত সহ ১১৮ অ্যাপ বাতিলের ঘোষণা করল কেন্দ্র।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন