২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে শিশুমৃত্যুর হার পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভারতেই। সম্প্রতি ল্যাঞ্চেট সংস্থার সমীক্ষা বলছে শিশুমৃত্যুর হারে চূড়ান্ত বৈষম্য দেখা গিয়েছে ধনী এবং দরিদ্র পরিবারের ক্ষেত্রে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর পক্ষ থেকে ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ফলাফল বলছে ১৫ বছরের মধ্যে বছর প্রতি শিশুমৃত্যুর সংখ্যাটা ২৫ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষে নেমেছে। যদিও শিশুমৃত্যুর হারের তালিকায় সেই শীর্ষেই রয়েছে ভারত।
তবে রাজ্য বিশেষে শিশুমৃত্যুর হারে বেশ তারতম্য রয়েছে। যেমন তালিকার শীর্ষে থাকা আসামে শিশুমৃত্যুর হার তালিকার একেবারে তলায় থাকা গোয়ার তুলনায় ৭ গুণ।
আরও পড়ুন, স্মার্টফোনে কাটছে শৈশব, নিশ্চিন্ত ‘আধুনিক’ মায়েরা
ব্লুমবার্গ স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ভারতের উচিত নিউমোনিয়া, মেনিন জাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা আরও বেশি সংখ্যক শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া, সদ্যজাতদের জন্মের ঠিক পরপর যে চিকিৎসাগত যে পরিষেবা দেওয়া হয়, তার পরিকাঠামোর উন্নতি করা"।
সমীক্ষা বলছে ৫৭.৯ শতাংশ শিশুমৃত্যু শিশুর জন্মের ৪ সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের শারীরিক জটিলতা (২৭.৫ শতাংশ)। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিউমোনিয়া (১৫.৯ শতাংশ)।
সদ্যজাতদের মৃত্যুর হার কমানোর জন্য 'কেঙ্গারু কেয়ার' -এর পরামর্শ দিয়েছেন সমীক্ষকরা, যেখানে শিশুর জন্মের পরপর স্তন্যপানের, মায়ের শরীরে উষ্ণতা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Read the full story in English