কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ চিনের সেনার প্রবেশের চেষ্টা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভারত-চিন সীমান্ত। তারপর বেশ কিছুদিন চুপচাপ কাটলেও সতর্ক ভারত। সেকথা স্পষ্ট করে দিলেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, এলএসি বা ভারত-চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় আছে। তবে, সীমান্তের পরিস্থিতি যে কোনও সময় বদলাতে পারে। এই সংকেত দিয়ে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সীমান্ত নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। ভারত সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে সেনা মোতায়েন রেখেছে, এই পর্যন্ত। সেনাপ্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন যে অরুণাচল প্রদেশ বা সীমান্তের পূর্বপ্রান্তে চিন সেনাসংখ্যা বাড়াচ্ছে।
সীমান্তের এপার থেকে তা নজরেও আসছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। কিন্তু, তাতে ভারতের চিন্তা বা উদ্বেগের কিছু নেই। একথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেনাপ্রধান। তিনি জানিয়েছেন, ভারতও তার চিন সীমান্তে যথেষ্ট পরিমাণে সেনা মোতায়েন রেখেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সেনাপ্রধান একইসঙ্গে জানিয়েছেন, ভারতও সীমান্তে স্থায়ী কাঠামো তৈরি করছে। যাতে জওয়ানরা ওই অঞ্চলে দীর্ঘকাল মোতায়েন থাকতে পারেন। শুধু স্থায়ী কাঠামো তৈরিই নয়। ভারত চিন সীমান্তের সেনা জওয়ানদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রও পৌঁছে দিয়েছে বলেই আশ্বস্ত করেছেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন- নবিকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, সেই নূপুর শর্মাকেই বন্দুক রাখতে অনুমতি
আগামী ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে সেনাপ্রধান সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে খুশির খবরও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও চিন দুই দেশই ইতিমধ্যে এলএসির পাঁচ থেকে সাতটি ইস্যুর সমাধান করে নিয়েছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠক এবং দুই দেশের মধ্যে লাগাতার কূটনৈতিক বৈঠকেই সমাধানসূত্র মিলেছে বলে সেনাপ্রধান জানান। তিনি স্পষ্ট করে দেন যে স্থিতাবস্থা ভাঙার যে কোনও চেষ্টা কড়া হাতে মোকাবিলা করবে ভারত। সেনাপ্রধান বলেন, 'ভারতীয় সেনা ডোকলামে চিনের কার্যকলাপে নজর রাখছে।' একইসঙ্গে তিনি জানান, ভারতীয় সেনা এলএসিতে রাস্তা, সেতু, সুড়ঙ্গ, অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করেছে। এর জন্য ইতিমধ্যেই ১,৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
Read full story in English