চিনকে পিছনে ফেলে সড়ক যোগাযোগে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত নয় বছরে দেশের মোট জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। এর পাশাপাশি হাইওয়ে নেটওয়ার্কের দিক থেকে আমেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এদিন আরও বলেন বলেছেন যে ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয় সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৯১,২৮৭ কিলোমিটার, যা ২০২২-২৩সালে বেড়ে ১,৪৫,২৪০ কিলোমিটার হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এদিনের ভাষণে বলেন, গত নয় বছরে চার লেন জাতীয় মহাসড়কের বৃদ্ধি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৩-২০১৪ সালে, চার লেন জাতীয়-মহাসড়কের এই দৈর্ঘ্য ছিল ১৮,৩৭১ কিলোমিটার, যা গত ৯ বছরে বেড়ে ৪৪,৬৫৪ কিলোমিটার হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন যে ফাস্ট্যাগ চালু হওয়ার পর থেকে টোল আদায়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তিনি জানিয়েছেন টোল থেকে রাজস্ব সংগ্রহ ২০১৩-২০১৪ সালে ৪৭০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ সালে হয়েছে ৪১,৩৪২ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে টোল রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১,৩০,০০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়া।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিনের ভাষণে বলেন, যে দেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চলে সড়ক মহাসড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এই এলাকায় ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমেরিকায় জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য ৬৮ লাখ তিন হাজার ৪৭৯ কিলোমিটার। যেখানে হাইওয়ে নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য ৬৩ লাখ ৭২ হাজার ৬১৩ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন যে জাতীয় সড়কগুলিতে মনোরম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ৬৭০ টি রাস্তার ধারের সুবিধাগুলি তৈরি করা হচ্ছে। নিতিন গড়করি বলেছেন যে গত ৯ বছরে ৬৮০০০এরও বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। NHI সারাদেশে জাতীয় মহাসড়ক বরাবর ১৫০০ টিরও বেশি অমৃত সরোবর তৈরি করেছে।