Advertisment

জনসংখ্যা, বৈচিত্র্য সত্ত্বেও ভারত সফলভাবে টিকা অভিযান পরিচালনা করেছে: রিপোর্ট

এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৬ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩৩ লক্ষের বেশি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টিকাদানে ২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েও সংক্রমণ ২০ হাজারের ওপরেই

কথা দিয়েছিলেন, কথা রাখলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফল এই নতুন রেকর্ড' ভারতের সার্বিক টিকাকরণ ১৭৬ কোটির ঘর স্পর্শ করতেই এই ঘটনাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এপ্রসঙ্গে দুটি রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘ভারতের মত জনবহুল দেশে টিকাকরণ একটা প্রধান চ্যালেঞ্জ’ আর সেই চ্যালেঞ্জকে সরকার সুন্দর ভাবে মোকাবিলা করেছে’।

Advertisment

দুটি রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে জেলা গ্রাম শহরের একাধিক এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে রাজ্য এবং জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কীভাবে টিকাকরণকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। অন্যদিকে কোউইন অনলাইন পোর্টালের সাফল্যকে তুলে ধরে তিনি বলেন এটি এমন একটি পোর্টাল যার মাধ্যমে ভ্যাকসিনের কাজ অনেক দ্রুত এবং সহজেই সম্পন্ন হয়েছে।

ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভনেস-ইন্ডিয়ার প্রধান ডক্টর অমিত কাপুর বলেন ‘টিকাকরণ একটি চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের কাছে। বহু সম্প্রদায়ের দেশ ভারতে টিকাকরণের সাফল্যের মূল হাতিয়ার জনসংযোগ। তিনি বলেন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সাধারণ মানুষকে বোঝানোই সবচেয়ে কঠিন কাজ। এপ্রসঙ্গে তিনি আমেরিকার কথা টেনে এনে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও টিকাদানের ক্ষেত্রে অনেক মানুষের অনীহা নজরে এসেছে। সেক্ষেত্রে ভারতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সকলকে টিকা নিতে দেখা গেছে। এর প্রধান ভিত্তি ছিল টিকাদানের কার্যকারিতাকে জনগণের কাছে তুলে ধরা। আর এই কাজটা সরকার খুব ভালোভাবেই করেছে’।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৬ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩৩ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১১ লক্ষের ৮৩ হাজার ৪৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে টিকাকরণ এবং সার্বিক কোভিড প্রটোকোল এই দুই বিষয়কে হাতিয়ার করেই ভারত আজ সহজেই তৃতীয় ঢেউকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। টিকাকরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের যথাযথ ট্রেনিংয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

সেই সঙ্গে বলা হয়েছে দেশীয় ভ্যাকসিনের বিকাশের জন্য প্রধান মন্ত্রী তহবিল থেকে ১০০ কোটি টানা অনুদানও দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে টিকাকরণ একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের কাছে। আর সেই চ্যালেঞ্জ সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ডঃ মার্ক এস্পোসিটো ভারতের টিকাকরণের বিষয়ে বলেছেন, ভারত, এই ধরনের বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও,টিকাদানের মাধ্যমে শুধুমাত্র জাতীয় সঙ্কটকে মোকাবেলা করেনি বরং ভবিষ্যতের জনস্বাস্থ্য সঙ্কট মোকাবেলায় প্রযুক্তিকে উদ্ভাবনীভাবে ব্যবহার করার জন্য বিশ্বের জন্য নীলনকশা তৈরি করেছে। “কো-উইন এবং আরোগ্য সেতুর মতো মোবাইল অ্যাপ গ্রহণ করা দেশে উদ্ভাবনের পরিবেশকে চালিত করেছে। এটি নাগরিকদের টিকা না পাওয়ার অনিশ্চয়তাও দূর করেছে,”  

India
Advertisment