ভারতের সংবিধানে উল্লেখ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দেশের আধ্যাত্মিক ভাবকে সঙ্কীর্ণ করেছে। রবিবার এই দাবি করেন জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল সেদিন অধিভক্ত পরিষদের অনুষ্ঠান ‘ধর্ম এবং সংবিধান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকে ভারত আধ্যাত্মিক দেশ। সংবিধানে ইতিমধ্যে সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক এবং প্রজাতান্ত্রিক শব্দ জোড়া ছিল। কিন্তু ১৯৭৬ সালে সমাজতান্ত্রিক এবং ধরমনিরপেক্ষ শব্দ জোড়া হয়েছে। আর এই ধর্মনিরপেক্ষ বা সেকুলার শব্দ দেশের বিপুল আধ্যাত্মিক ভাবনাকে সঙ্কীর্ণ করেছে।‘
তাঁর দাবি, ‘ভারত সব নাগরিকের যত্ন নিতে সক্ষম। আর দেশের সমাজতান্ত্রিক চরিত্র উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। পাণ্ডব, মৌর্য, গুপ্ত, মুঘল, ব্রিটিশরা এই দেশ শাসন করেছে। কিন্তু কখনই ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের চরিত্র বদল হয়নি। কারণ আধ্যাত্মিকবাদী দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত। ভারতের নাম আধ্যাত্মিক প্রজাতান্ত্রিক ইন্ডিয়া হওয়া উচিত। তাই সংবিধানে সেকুলার শব্দ জুড়ে ব্যাপক আধ্যাত্মিক ধ্যান-ধারণাকে সঙ্কীর্ণ করা হয়েছে। একে সঙ্কীর্ণ মানসিকতার পরিচয় বলা যেতে পারে।‘
সংবিধানে কোনও সংশোধনী যদি কার্যকর হয়, তবে সেটা দেশের পক্ষে ভালো। কিন্তু অনেক সময় জেদের বশেও আমরা অনেক সংশোধনী আনি। সমাজতান্ত্রিক এবং সেকুলার—দুটি শব্দই ভালো। কিন্তু আমাদের দেখা উচিত এই সংশোধনী সঠিক কারণে এবং সঠিক জায়গায়া আনা হয়েছে কিনা। এভাবেও সরব হয়েছিলেন বিচারপতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন