করোনা আবহে গোটা বিশ্ব নাজেহাল। কিন্তু, তার মধ্যেও সামরিক খাতে ব্যয় কমায়নি ভারত। উলটে, বাড়িয়েছে। যার ফলে ২০২১ সালে সামরিক ব্যয়-বরাদ্দে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। শুধু তাই নয়, সামরিক ক্ষেত্রে মোদী সরকারের ভারত রীতিমতো সর্বকালীন রেকর্ডও গড়েছে। ২০২১ সালে দেশের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এর ফলে সামরিক খাতে ব্যয়-বরাদ্দে ভারত স্থান পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের ঠিক পরে।
সোমবার এমনটাই জানিয়েছে স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)। এই সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় করা প্রথম পাঁচটি দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ভারত, ইংল্যান্ড এবং রাশিয়া। গোটা বিশ্বের মোট সামরিক খাতে ব্যয়ের ৬২ শতাংশই খরচ করে এই পাঁচটি দেশ। এসআইপিআরআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারতের সামরিক ব্যয় ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ০.৯ শতাংশ এবং ২০১২ সালের চেয়ে ২০২১ সালে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এবং বিরোধের মধ্যেই সীমান্তে ছড়িয়ে পড়া সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণেই সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। অগ্রাধিকার দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং অস্ত্র উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতার ওপর। এসআইপিআরআইয়ের রিপোর্ট পড়ে এমনটাই মনে করছেন ভারতীয় সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- কর্মসংস্থানের চোরাগলিতে ঘুরপাক খাচ্ছে ভারত, কাজ না-পেয়ে হতাশ বহু, প্রকাশ রিপোর্টে
তবে, শুধু ভারতই না। সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে বিশ্বের প্রথমসারির দেশগুলোও। এরমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ ২০২১ সালে খরচ করেছে। চিন খরচ করেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। সামরিক ব্যয়-বরাদ্দ বাড়িয়েছে ব্রিটেনও। এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে চিনের সামরিক ব্যয় টানা ২৭ বছর ধরে বাড়ছে। এক বিবৃতিতে এসআইপিআরআইয়ের প্রবীণ গবেষক ড: নান তিয়ান বলেছেন, 'দক্ষিণ এবং পূর্ব চিন সমুদ্রের আশপাশে চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কার্যকলাপের জন্য অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলিও সামরিক ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।'
Read story in English