Myanmar earthquake updates: মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০০। এখনও চলছে ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রাণের সন্ধান। শুক্রবার দুপুরে মধ্য মায়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৬.৭ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশ। মায়ানমারে ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডেও এর প্রভাব পড়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মায়ানমারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চিন সহ আরও একাধিক দেশ।
মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে, ভারত শনিবার জরুরি মিশন 'অপারেশন ব্রহ্মা'-এর অধীনে উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মায়ানমারের সামরিক জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সাথে কথা বলেছেন এবং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবেলায় ভারত সব রকম ভাবে পাশে আছে।
ভারত মায়ানমারে 'অপারেশন ব্রহ্মা' চালু করেছে। সামরিক বিমানের মাধ্যমে ইয়াঙ্গুনে ১৫ টন প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে, উদ্ধারকর্মীদের একটি দলকে মায়ানামারের পাঠিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সাথে ফোনে কথা বলে তাঁর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী X-এ লিখেছেন যে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী হিসেবে, ভারত এই কঠিন সময়ে মায়ানমারের জনগণের পাশে সব রকম ভাবে থাকার চেষ্টা করছে। অপারেশন ব্রহ্মার অধীনে, দুর্যোগ ত্রাণ সামগ্রী, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলিকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে ভয়াবহ ভুমিকম্পের ফলে একাধিক বহুতল , রাস্তাঘাট এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার পর দেশের অনেক এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও এর প্রভাব পড়ে। এমনকি ভারতের অনেক রাজ্যেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। মায়ানমারে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ডেও। চিনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শুক্রবার চিনেও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যার তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.৯ পরিমাপ করা হয়েছিল। ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর, মায়ানমার সেনাবাহিনী অনেক রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।