সুদানে একসপ্তাহ ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই নিজেদের দেশের নাগরিকদের সুদান থেকে সরাচ্ছে সব দেশ। ভারতও সেই কাজ শুরু করেছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে, 'অপারেশন কাবেরী'। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন যে ভারতের জাহাজ ও বিমান সুদান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রায় ৫০০ ভারতীয়কে সুদান বন্দরে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আরও অনেকেকে ওই পথে সুদান বন্দরে আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সুদান বন্দরে মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ। সেই জাহাজে করেই ভারতীয়দের সুদান থেকে দেশে ফেরানো হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সুইডেন এবং ফ্রান্সের মতো বেশ কয়েকটি পশ্চিমী দেশের কূটনীতিকদের গত কয়েক ঘণ্টায় তাদের সরকার সরিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন মহল আশা করেছিল, ইদ-উল-ফিতরের কথা মাথায় রেখে যুদ্ধরত উভয়পক্ষই অন্তত তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবে। কিন্তু, শেষ অবধি তেমন কিছু হয়নি। তার ফলে বিদেশিদের সরানোর কাজ ব্যাহত হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ৪২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩,৭০০ জন। সুদানের সেনা ও আধাসেনার মধ্যে হওয়া এই সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা পরিপূর্ণ গৃহযুদ্ধের চেহারা নিতে পারে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।
আরও পড়ুন- বিয়ের অনুদানের নামে ‘প্রেগনেন্সি টেস্ট’? বিতর্কের মুখে জেলাশাসকের আজব সাফাই
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সামরিক বাহিনী এবং মহম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন সুদানের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে এই লড়াই হচ্ছে। সুদানে সামরিক শাসনের হাত থেকে গণতান্ত্রিক শাসনের হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর করতে নারাজ সামরিক বাহিনী। আর, আধাসামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক শাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে।
এই পরিস্থিতিতে সুদানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয়, ওষুধ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগের মাধ্যমের দাম বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর ওপরও লাগাতার হামলা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে চাদ, মিশর এবং দক্ষিণ সুদানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভয়ে পালাচ্ছে।