Advertisment

আশা জাগিয়ে দেশে কমল দৈনিক সংক্রমণ! স্বস্তি দিয়ে সক্রিয় সংক্রমণও সাড়ে ৪ লক্ষের নীচে

Daily Covid Cases in India: মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সক্রিয় সংক্রমণ ৪,১৩, ৭১৮, মোট সংক্রমিত ৩,১৭, ২৬,৫০৭।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid-19, Third Wave, ICMR

প্রতীকী চিত্র।

Daily Covid Cases in India: কেন্দ্রের উদ্বেগ কমিয়ে দৈনিক সংক্রমণ হ্রাস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত ৩০,৫৪৯, মৃত ৪২২। এই পরিসংখ্যান ধরে দেশে সক্রিয় সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সক্রিয় সংক্রমণ ৪,১৩, ৭১৮, মোট সংক্রমিত ৩,১৭, ২৬,৫০৭। গত কয়েকদিন ধরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারের উপরে ছিল। উদ্বেগ বাড়িয়েছিল কেরলের সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, দেশে মোট সংক্রমণের ৫১% কেরলের। যদিও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সাম্প্রতিক হিসেবে এদিন অনেকটাই কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের ওই রাজ্যে সংক্রমিত ১৩,৯৮৪ জন।

Advertisment

জানা গিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ যেখানে একধাক্কায় অনেকটা কমেছে, তেমন খানিকটা বেড়েছে দৈনিক সুস্থ হওয়ার সংখ্যা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৮,৮৮৭ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী। রবিবার যেখানে দৈনিক সংক্রমিত ছিল ৪০,১৩৪ জন, সোমবার প্রায় সাড়ে নয় হাজার কমেছিল আক্রান্তের সংখ্যা। আইসিএমআর সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কোটি ১২ লক্ষ মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ লক্ষের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষার জন্য গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৪৭, ২২,২৩,৬৩৯ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৬ কোটি মানুষ পেয়েছেন প্রথম ডোজ, বাকিরা দুটি করেই ডোজ পেয়েছেন। এদিকে, গত দুই বছরে চিকিৎসার মারপ্যাঁচে অসহায় জীবনযাত্রা! ওষুধ, ভিটামিন সি, সঙ্গে ইমিউনিটি বাড়ানোর দৌড়, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এক্কেবারে হ-য-ব-র-ল। সুস্থ থাকার প্রচেষ্টা যেমন এক, তবে করোনা আক্রান্ত বা করোনা জয়ীদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন বেশ কিছুটা এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও রয়েছে নানান বিভ্রাট! চিকিৎসা শাস্ত্রের নানান বিব্রতকর প্রয়োগ মানুষের জীবন তথা শরীরের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে অবিরাম। চিকিৎসকদের মতে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক দিলে তাদের সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। কোভিড রোগীদের অন্যান্য সংক্রমণ রোধে অ্যান্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ব্যবহার কেবল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি করছে, যাতে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, শরীরের কোনও উপকারে তো লাগেই না বরং নানান ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণুর ক্ষমতা উল্টে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক জানানো হয়েছে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর তখনই ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং পরজীবী সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় এবং ওষুধের কাজ দেয় না। সংক্রমণের চিকিৎসা করা কঠিন করে তোলে এবং রোগের বিস্তার, গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। সুতরাং এই জীবাণুগুলি এক বা একাধিক শ্রেণির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পদার্থের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, যার ফলে ওষুধ ব্যর্থ হয়। এই ধরনের প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস চিকিৎসা পরিসরে, বিশেষ করে আইসিইউ চিকিৎসায় সংক্রমিত রোগীদের জন্য নেতিবাচক ফলাফলের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kerala ICMR health Ministry Corona India Vaccination
Advertisment