করোনামুক্তির পথে ভারত। দেড় হাজারের নীচে দৈনিক সংক্রমণ। দেশজুড়ে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ২০ হাজারেরও কম। সব মিলিয়ে গোটা দেশে দ্রুত গতিতে টিকাকরণ কর্মসূচির ফল মিলছে। ভাইরাসের গ্রাস থেকে মুক্ত হচ্ছে দেশ।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ১ হাজার ৪২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৫৩। যদিও এর মধ্যে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৮২ হাজার ২৬২ জনই করোনামুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ১৪৯ জনের। তথ্য বলছে দেশে এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের বলি ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জন।
করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। বর্তমানে দেশে ১৬ হাজার ১৮৭ টি করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। দেশে করোনামুক্তির হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট ০.২৩ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.২৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় মোট দেশে ৬ লক্ষ ২০ হাজার ২৫১টি কোভিড টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৭৮ কোটি ৬৯ লক্ষের বেশি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনামুক্তি পথে ভারত। ধাপে ধাপে প্রায় সব বয়সের জনগণকেই টিকাকরণের আওতায় এনে ফেলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই দেশে ১৮৩ কোটিরও বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য দ্রুত মূল স্রোতে ফেরা জরুরি, মত মনোবিজ্ঞানীদের
উল্লেখ্য, ভারতে ২০২০ সালের ৭ অগাস্ট মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ছিল। ২৩ অগাস্ট সেই সংখ্যা পৌঁছোয় ৩০ লক্ষে। ৫ সেপ্টেম্বর দেশের মোট সংক্রমিতের সংখ্যা পৌঁছে যায় ৪০ লক্ষে। ১৬ সেপ্টেম্বর দেশের মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৫০ লক্ষ।
একইভাবে ২০২০-এর ২৮ সেপ্টেম্বর ৬০ লক্ষে পৌঁছোয় দেশের মোট সংক্রমণ। ২০২০-এর ১৯ ডিসেম্বর দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০২১ সালের ৪ মে দেশের আক্রান্তের সংখ্যা দু'কোটি এবং গত বছরের ২৩ জুন মোট সংক্রমণ তিন কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
Read story in English