'হঠকারিতা ছেড়ে আলোচনা করুন', ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার পরামর্শ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে।
মহম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি মুইজ্জু ভারতের কাছে দেশের আর্থিক সমস্যার কারণে ঋণের জন্য অনুরোধ করেছেন। এরপর মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে পরামর্শ দিয়েছেন, "একগুঁয়েমি বন্ধ করে আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে"।
মুইজ্জুর ভারত বিরোধী ভাবমূর্তির কারণে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। বর্তমানে মালদ্বীপ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই মালদ্বীপকে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এসবের মাঝে মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ মুইজ্জুকে তার জেদ ছেড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, ইব্রাহিম মহম্মদ বলেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিবেশীরা অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আমাদের সাহায্য করবে, তবে আমাদের হঠকারিতা ছেড়ে দিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। অনেকে আছে যারা আমাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত কিন্তু মুইজ্জু আপস করতে প্রস্তুত নয়। তিনি আরও বলেন, 'আশা করি সরকার দেশের চাহিদা বুঝবে'।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে এবং আমাদের সরকারের শুরু করা প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করছে। তিনি বলেন, এখন সেই মিথ্যা আড়াল করতে তারা আরেকটি মিথ্যা বলছেন। প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ভারতের কাছে ঋণ চাওয়ার পর ইব্রাহিমের এই বক্তব্য এসেছে। মুইজুকে চীনপন্থী নেতা হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু সঙ্কটের সময়ে তারা ভারতের কাছে সাহায্যে চেয়েছে মালদ্বীপ।
মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই ভাল ছিল। কিন্তু মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারণার সময় এবং পরে মহম্মদ মুইজু ক্রমাগত ভারতের সমালোচনা করেছেন। নভেম্বরে মুইজ্জু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর পরে, সম্পর্কের আরও অবনতি হয় যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের সময় তার মন্ত্রিসভার অনেক মন্ত্রী তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন।