বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমিরের সঙ্গে দেখা করার একদিন পর, ভারত মালদ্বীপ থেকে তার সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু সেনা প্রত্যাহারের জন্য নয়াদিল্লিকে ১০ মে পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল। তার আগেই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সেনা সরিয়ে নিল মোদী সরকার।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখ্য মুখপাত্র Sun.mv নিউজ পোর্টালকে বলেছেন, মালদ্বীপে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাদের শেষ ব্যাচকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে সৈন্যদের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। ভারত ও মালদ্বীপ ১০ মে এর আগে মালদ্বীপে অবশিষ্ট ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, যে "ভারতীয় সেনাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচ ভারতে ফিরে এসেছে। এই বিষয়ে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে মালদ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচের সেনারা ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছে।"
'ভারত-মালদ্বীপের সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থে', মুইজ্জুর মন্ত্রীকে কী বললেন জয়শঙ্কর?
ভারতে এসেছেন মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির। বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্করের । আর সেখানেই বিদেশ মন্ত্রী জানালেন, দুই দেশের সম্পর্ক দাঁড়িয়ে রয়েছে পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে। এর আগে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, এই বৈঠক ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে এবং আগামীর রূপরেখা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরকে কূটনৈতিক ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কেন উভয় দেশকে একে অপরের 'স্বার্থ' রক্ষা করে চলতে হবে! মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হওয়ায়, ভারত-মালদ্বীপকে পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার উপরে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
মালদ্বীপে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে, মহম্মদ মুইজ্জুর নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে । প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চীনপন্থী বলেই মনে করা হয়। এবং ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ইণ্ডিয়া আউট স্লোগান তুলেছিলেন। পাশাপাশি তিনি ভারত বিরোধী কার্যকলাপে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। তার ক্ষমতায় আসার পর এই ছোট দ্বীপ দেশে চিনের সক্রিয়তা বেড়েছে যা ভারতের কাছে খুবই উদ্বেগের।
জয়শঙ্কর মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে কীভাবে ভারত সেখানে মানুষের কল্যাণে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ক্রমাগত সমর্থন করে চলেছে। এতে উপকৃত হচ্ছে মালদ্বীপের মানুষ। ভারত মালদ্বীপে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা প্রদান করে আসছে। মালদ্বীপের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে উভয় দেশই ভবিষ্যতের উন্নয়ন প্রকল্পের নানাবিধ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।