দেশের করোনার ক্ষেত্রে আগামী ৪০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জানুয়ারিতেই করোনা ব্যাপক হারে প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ব্যাপকভাবে ছড়ালেও মারাত্মক হবে না সংক্রমণ। হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনাও কম ঘটবে। তাই বলে ব্যবস্থাপনায় কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ প্রশাসন।
মঙ্গলবারই দেশজুড়ে করোনা প্রতিরোধের মক ড্রিল হয়ে গিয়েছে। তবে, করোনার প্রাদুর্ভাবের পুরোনো লক্ষণগুলো বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, সংক্রমণকেও ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও আগামী ৪০ দিন ভীষণভাবে সতর্ক থাকা জরুরি। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, 'অতীতে দেখা গিয়েছে, পূর্ব এশিয়ায় প্রাদুর্ভাবের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মাথায় করোনা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এটাই ট্রেন্ড।'
বিশেষজ্ঞদের এই বক্তব্যের কারণ, ইতিমধ্যেই চিন-দক্ষিণ কোরিয়ার মত বিভিন্ন দেশে করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়েছে। তার জেরেই সতর্ক প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে করোনা প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে। যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখভাই মান্ডভিয়া ইতিমধ্যেই সব উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা করোনা প্রতিরোধে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা রাখার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্তমানে করোনার যে শেষতম ভেরিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, তা হল BF.7। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই ভেরিয়েন্ট অত্যন্ত দ্রুতহারে এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ে। একজন সংক্রমিত ব্যক্তি আরও ১৬ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। আর, এই কারণেই নতুন করোনা ভেরিয়েন্ট দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভয়ংকর ঘটনা! মস্তিষ্ক খেয়ে নিল অ্যামিবা, বাঁচানো গেল না রোগীকে, শিহরিত চিকিৎসকরাও
তবে, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে ভারতে ইতিপূর্বে করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়েছিল। সেই কারণে, অনেকের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল। আবার, ভ্যাকসিনও নেওয়া হয়েছে। তাতে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। পাশাপাশি, করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। তার ফলে এদেশে করোনা তেমন একটা বড় ক্ষতি করতে পারবে না-বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
Read full story in English