বর্তমানে দেশে অনেকটাই স্বাভাবিক করোনা পরিস্থিতি। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও আগের তুলনায় কম। এই মুহুর্তে ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা শেষ ধাপের ট্রায়াল চালাচ্ছে। সব সংস্থাই জরুরিকালীন ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতিও চেয়েছে। যদিও ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছে সব রকম তথ্য নিয়ে তবেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এই আবহে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান যে সম্ভবত জানুয়ারি মাস থেকেই দেশে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে।
তিনি টিকাকরণের ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত মতামতও জানিয়েছেন। ডা: হর্ষ বর্ধন বলেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন যে ভারতের এখন সেই সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা যেতে পারে এবং তা আগামী মাস থেকেই।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ হাজার ৩৩৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ হাজার। ররিবার এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১০। ভারতে অ্যাক্টিভ কেস এখন ৩ লক্ষ ৩ হাজার। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৬ লক্ষ ৬ হাজার ১১১ জন।
ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, প্রথম অগ্রাধিকার ভ্যাকসিনগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা। সরকার সেখানে আপস করবে না। তিনি এও বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করছি, সম্ভবত জানুয়ারীর যে কোনও সপ্তাহে, আমরা ভারতের লোকদের কাছে প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন শট দেওয়ার মতো অবস্থানে থাকতে পারি।”
সোমবার কোভিড-১৯ ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন নিয়ে সোমবার জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধি-সহ এইমস এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (আইসিএমআর) বিশেষজ্ঞরা নতুন স্ট্রেনের বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেবেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন