বৃহস্পতিবার এক ১৪ বছরের রোহিঙ্গা মুসলিম মেয়েকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মায়ানমারে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য। এমনটাই জানান হয়েছে পুলিশের তরফে। এদিকে এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থারা নয়াদিল্লিকে চাপ দিয়েছে এই কাজ বন্ধের জন্য।
মায়ানমারে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তাঁদের সে দেশ নাগরিকত্ব দেওয়া থেকেও বাদ দিয়েছে। সেই সব শরনার্থীরা বহু বছর ধরেই ভারতে থাকছে। যদিও নরেন্দ্র মোদীর সরকার তাঁদেরকে দেশের জন্য 'সুরক্ষিত নয়', এমনটাই বিবেচনা করছে। সেই প্রেক্ষাপটে বহু রোহিঙ্গাকে আটকও করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানান গিয়েছে ১৪ বছরের কিশোরীকে মণিপুর রাজ্যের একটি সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁকে মায়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাগজপত্রের কাজ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ভারতের আসাম রাজ্যে একাধিক রোহিঙ্গারা এসে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে অনেক পরিবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী হিসাবে বাস করত।
আসামের শিলচর শহরে একটি অ-লাভজনক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দিবা রায় এই মেয়েটির দেখাশোনা করেছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল যে মায়ানমারে মেয়েটির পরিবারের কেউ নেই। তবে কেন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? পুলিশ জানায় নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য তাঁরা। যদিও এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কিছু জানান হয়নি।
যদিও UNHCR মুখপাত্র বলেন, "মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এখন সেই উপযুক্ত সময় নয়। বরং কিশোরী সেখানে ফিরে গেলে ক্ষতি ও প্রাণের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।" ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের পুলিশ গত মাসে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে এবং তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন