ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ১৪ বছরের অভিজ্ঞমহিলা অফিসারদের পার্মানেন্ট কমিশনে যাওয়ার যোগ্যতার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে, তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংকে হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুকের নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ব্যান করল সংস্থা। অন্যদিকে, কুলভূষণ যাদব মামলায় আইনজীবী নিয়োগের জন্য ভারতকে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য পাক সরকারকে নির্দেশ ইসলামা হাইকোর্টের। দেশের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে…
মহিলা অফিসারদের পার্মানেন্ট কমিশনে যাওয়ার যোগ্যতার সময়সীমার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ১৪ বছর কাজ করেছেন এমন মহিলা অফিসারদের পার্মানেন্ট কমিশনে যাওয়ার যোগ্যতার সময়সীমা বাড়ানোর যে আবেদন ছিল, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
* শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, যারা ১৪ বছর কাজ করেছেন, তাঁরাই পেনশনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এর বদল ঘটালে বাস্তবে তা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, প্রতি ছ’মাস অন্তর একটি ব্যাচ কমিশনড হয়।
* ১৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পুরুষ অফিসারদের মতোই কম্যান্ড পজিশনে স্থায়ী ভাবে মহিলাদের নিয়োগ করা যাবে।
* আরও বলা হয়েছিল, যে সমস্ত মহিলা অফিসার ১৪ বছর বা তার বেশি শর্ট সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এ কাজ করেছেন, কিন্তু পার্মানেন্ট কমিশনে যেতে পারেননি, তাঁরা ২০ বছর কাজের সুযোগ পাবেন।
* সুপ্রিম কোর্টে মহিলা অফিসারদের আবেদন ছিল, ওই যোগ্যতার সময়সীমা বাড়ানো হোক। শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি, তাঁদের ২০ বছর কাজের জন্য একটি বিকল্প দেওয়া হোক।
* সরকারের পক্ষে আইনজীবী কর্নেল বালসুব্রহ্মণ্যম আবেদনকারীদের বিরোধিতা করেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
‘গুরত্ব সহকারে’ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কংগ্রেসকে জবাব ফেসবুকের
‘ভারতে বিজেপির প্রতি ফেসবুক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে’, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন সামনে আসার পর এ অভিযোগ জানিয়ে এবার ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছিল কংগ্রেস। তারই জবাব দিয়েছে ফেসবুক। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি-র পক্ষ থেকে নেইল পটস জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তোলা উদ্বেগ ও সুপারিশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।’
ভারতে ফেসবুক লিডারশিপ টিম কীভাবে কাজ চালায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে ফেসবুক সিইও-কে চিঠি লিখেছিলেন কে সি বেণুগোপাল। এ সম্পর্কে অবশ্য কোনও শব্দ খরচ করেননি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
পটস জানিয়েছেন, ফেসবুক ‘পক্ষপাতহীন’ একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে জনগণ তাঁদের মতামত নির্দিধায় প্রকাশ করতে পারেন। কংগ্রেসকে দেওয়া ফেসবুকের জবাবে উল্লেখ, ‘পক্ষপাত-দুষ্ট এই অভিযোগ আমরা থুবই গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব। স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা সব ধরনের ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিরোধী। আপনি ও আপনার দলের অন্যান্যদের সঙ্গে শেষ আলোচনায় আমরা আমাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড, নীতি জানিয়েছিলাম। মহামারীর সময়ও আমাদের নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ধর্ম, জাতি, জাতীয়তাবাদ সহ একাধিক বিষয়ের উপর কোনও জনপ্রতিনিধি বা পাবলিক ফিগারের মন্তব্য ফেসবুক অনুমোদন করে না। কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য থাকলে তা আমরা বাতিল করি। এক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রভাব বিবেচ্য নয়।’
ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে শুধুমাত্র চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লক্ষ পোস্ট মুছে দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে শেষ ত্রৈমাসিকের মুছে ফেলা হয় এক কোটি ৬০ লক্ষ। অর্থাত্ হিংসা ছড়ানোর রুখতে ফেসবুক যে আরও তত্পর তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Read in English
বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জের, বিজেপি বিধায়ককে ব্যান করল ফেসবুক
ফেসবুক বিজেপির বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে সমর্থন করেছে সম্প্রতি এই মর্মে কম জলঘোলা হয়নি। খবর পৌঁছেছে মার্ক জুকারবার্গ পর্যন্ত। বিজেপির এই কাজের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ফেসবুককেও। এহেন পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার বিজেপি এমএলএ টি রাজা সিংকে হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুকের নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ব্যান করল সংস্থা।
ফেসবুকের মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমাদের নীতি লঙ্ঘন করার জন্য আমরা রাজা সিংকে ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করেছি যেগুলি আমাদের প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত থেকে হিংসা এবং ঘৃণা প্রচার এবং ঘৃণা সম্পর্কিত নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।”
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে বাণিজ্যিক কারণে ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ রুলস’ লাগু করেননি। আমেরিকার ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন। কারণ, তাহলে এ দেশে ব্যবসায় ধাক্কা খেতে পারে সংস্থাটি।
তবে এই খবর সামনে আসতেই বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগে তুলেছিল দেশের বিরোধী পক্ষরা। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ফেসবুককে দু’বার চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেস। ওয়াকিবহাল মহলের মত সেই প্রেক্ষাপটেই এমন সিদ্ধান্ত ফেসবুকের।
Read in English
হ্যাক হল নরেন্দ্র মোদীর ওয়েবসাইটের টুইটার অ্যাকাউন্ট
হ্যাকারদের নিশানায় এবার প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট। বৃহস্পতিবারই এই খবর নিশ্চিত করেছে টুইটার। মোদীর নিজস্ব ওয়েবসাইটের যে টুইটার অ্যাকাউন্ট সেখান থেকে কোভিড-১৯ ত্রাণ তহবিলের জন্য অনুদানের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহার করার নামে একাধিক টুইট করা হয়।
টুইটারের তরফে জানান হয়েছে যে তাঁরা এই ধরনের কার্যকলাপ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন এবং অ্যাকাউন্টিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ইমেলের মাধ্যমে একটি বিবৃতিতে টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা গভীর ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছি। প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত যে অ্যাকাউন্ট প্রভাবিত হয়েছে সে সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না।”
যদিও পরবর্তীতে টুইটগুলিকে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে ফেলা হয়। সেখানে বারবার ফলোয়ার্সদের ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়।
Read in English
কুলভূষণ মামলায় আইনজীবী নিয়োগের আরেকটা সুযোগ ভারতকে দেওয়া হোক, পাক সরকারকে নির্দেশ আদালতের
মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামী কুলভূষণ যাদব মামলায় আইনজীবী নিয়োগের জন্য ভারতকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া হোক। পাক সরকারকে এই নির্দেশ দিল সেদেশের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এ দিন এই মামলার শুনানি এক মাস পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
এর আগে চলতি বছরের জুলাইতে দিল্লি অভিযোগ করে জানায়, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানছে না পাকিস্তান। কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। তারপরই পাকিস্তানের হাইকোর্ট জানায়, তারা কূলভূষণের আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য ভারতকে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তার আগে কুলভূষণ ও ভারত সরকার আইনজীবী নিয়োগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
ভারতের অভিযোগ ছিল, কুলভূষণের ন্যায় পাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে পাকিস্তান। ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণকে চরবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তানের অভিযোগ হলো, কুলভূষণ ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। তিনি গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সঙ্গে যোগযোগ রেখে চলেন। তিনি বালুচিস্তানে গোলমাল করার চেষ্টায় ছিলেন। ভারত অবশ্য এই সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালে পাক সামরিক আদালত চরবৃত্তির দায়ে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। আদালতের নির্দেশ ছিল, ভিয়েনা চুক্তি মেনে কুলভূষণের কাছে ভারতীয় কূটনীতিকদের অবাধে যেতে দিতে হবে। ভারতের দাবি এ পর্যন্ত মাত্র দুই বার ভারতীয় কূটনীতিকদের কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সাক্ষাৎকার রেকর্ড করা হয়েছে। নজর রাখা হয়েছে। খোলাখুলি কথাবার্তা হয়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আগে পাক সরকার আবেদনকরেন। যাতে বলা হয়েছে, আদালতই কুলভূষণের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করে দিক। পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, কুলভূষণ মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে পর্যালোচনা বা ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করতে অস্বীকার করেছেন।
Read in English
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে