কঙ্গনা রানাওয়াত বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের সংঘাত ঘিরে টানটান উত্তেজনা বাণিজ্য়নগরীতে। পালি হিলে কঙ্গনার অফিস ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এদিকে, মুম্বইয়ে পা রেখেই উদ্ধবকে নিশানা করলেন কঙ্গনা। অন্য়দিকে, দেশে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল বন্ধ রাখা হল। দেশের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
কঙ্গনা বনাম শিবসেনা সংঘাত তুঙ্গে, নায়িকার অফিস ভাঙা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্ট
কঙ্গনা রানাওয়াত বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের সংঘাত ঘিরে টানটান উত্তেজনা বাণিজ্য়নগরীতে। বান্দ্রার পালি হিলসে কঙ্গনার অফিস ভাঙা ঘিরে এদিন নায়িকা বনাম উদ্ধব ঠাকরে সরকারের সংঘাত হাইকোর্টে গড়াল। কঙ্গনার অফিস ভাঙা বন্ধ করতে ইতিমধ্য়েই বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে (বিএমসি) নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। কঙ্গনার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএমসি-কে জবাব দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামিকাল দুপুর ৩টেয় এ মামলার শুনানি। হাইকোর্টের নির্দেশে টিম কঙ্গনা শিবির আপাতত স্বস্তিতে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
*বান্দ্রার পালি হিলস এলাকায় কঙ্গনার অফিস ‘বেআইনি নির্মাণ’, এই অভিযোগে নোটিস দিয়েছে বিএমসি। বৃহন্মুম্বই পুরসভার এই নোটিসকে চ্য়ালেঞ্জ করে এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী। এদিন বেলা গড়াতেই বুলডোজার নিয়ে কঙ্গনার অফিসে হাজির হয় বিএমসি-র এক দল। কঙ্গনার অফিস ভাঙার কাজ শুরু হয়।
*অফিস ভাঙার ঘটনায় টুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন বলিউড নায়িকা।মুম্বই ফেরার পথে টুইটারে কঙ্গনা লেখেন, ”মণিকর্ণিকা ফিল্মে প্রথম ছবি অযোধ্য়ার ঘোষণা হয়েছে, এটা আমার কাছে শুধু একটা নির্মাণ নয়, রাম মন্দির। আজ সেখানে বাবর এসেছে, আজ ইতিহাসে ফের রাম মন্দির ভাঙা হবে, কিন্তু বাবর মনে রাখবে, আবারও মন্দির তৈরি হবে, জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী রাম”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
করোনা ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! বন্ধ হল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়াল
করোনা রুখতে এখন ভ্যাকসিন ভরসা। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিশ্বে এগিয়ে ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও চলছিল। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। বেশ কয়েকজনের দেহে দেখা গেল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এরপরই ট্রায়াল আপাতত বন্ধ করে দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
*ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল বলেন, “এখনই এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের ট্রায়ালের সময় এমনতা হয়েই থাকে। এটা একটা ভালো বিষয় যে ভ্যাকসিন দৌড়ে না গিয়ে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করছি। যার জন্য কী কী উন্নত করা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলি ধরা পড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “যখন এরকম কোনও পরিস্থিতি আসে তখন ট্রায়াল থামিয়ে পুনরায় পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। সেই কারণেই ট্রায়াল।”
*ভ্য়াকসিন ব্যবহার করার সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি এড়াতেই এই ট্রায়াল করা হয়। আর কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে। তবে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম ঘটল।
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
কঙ্গনার অফিস ভাঙা নিয়ে মুখ খুললেন পাওয়ার
কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভাঙার ঘটনায় মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। বুধবার মহারাষ্ট্র সরকারের জোটসঙ্গী এনসিপি নেতা বলেছেন, মুম্বইয়ে বেআইনি নির্মাণ নতুন কিছু নয় এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএমসি-র পদক্ষেপ মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করায়।
* এ প্রসঙ্গে শরদ পাওয়ার বলেছেন, ''বিএমসি-র পদক্ষেপ নিয়ে আমার কাছে বেশি তথ্য় নেই। তবে, মুম্বইয়ে বেআইনি নির্মাণ নতুন কিছু নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ করা মানুশের মনে সন্দেহ তৈরি করায়''।
* তিনি আরও বলেছেন, ''বিএমসি-র নিজস্ব আইন রয়েছে এবং যেটা ঠিক মনে হয়েছে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছেন অফিসাররা''।
*বান্দ্রার পালি হিলসে কঙ্গনার অফিস ভাঙা ঘিরে এদিন নায়িকা বনাম উদ্ধব ঠাকরে সরকারের সংঘাত হাইকোর্টে গড়াল। কঙ্গনার অফিস ভাঙা বন্ধ করতে ইতিমধ্য়েই বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে (বিএমসি) নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। কঙ্গনার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএমসি-কে জবাব দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামিকাল দুপুর ৩টেয় এ মামলার শুনানি। (Read in English)
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
প্লাস্টিকের বোতল ছেড়ে মাটির পাত্রে জল খাওয়ার পরামর্শ মোদীর
দেশিয় পদ্ধতিতে জোর দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন আগেই। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবার প্লাস্টিকের বোতলের বদলে মাটির কলসিতে জল খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে অনেকেই এই ব্যবসার উন্নতিসাধন করতে পারবেন বলেও মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর স্ট্রিট ভেন্ডর আত্মনির্ভর নিধি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথোপকথনের সময় এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন।কোভিড -১৯ মহামারী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র রাস্তার বিক্রেতাদের তাদের ব্যবসা আবার চালু করতে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটি ১ জুন চালু করেছিল।
মধ্যপ্রদেশে আয়োজিত এই ভার্চুয়াল এই বৈঠক থেকে মোদী বলেন, “আমি মধ্যপ্রদেশ এবং শিবরাজ জি'র দলকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাঁদের প্রয়াসে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে মধ্যপ্রদেশের ১ লক্ষেরও বেশি বিক্রেতা স্বনিধি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পেরেছে।"
প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, "কোভিড-১৯ লকডাউনে ফুটপাতের বিক্রেতাদের ব্যবসাকে প্রভাবিত করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল তাঁরা সকলেই যাতে নতুন করে পুঁজি দিয়ে কাজ শুরু করতে পারে।"Read the full story in English
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
চাকরি-শিক্ষাক্ষেত্রে এ বছর মারাঠা কোটা নয়: সুপ্রিম কোর্ট
চলতি বছরে চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মারাঠা কোটা প্রযোজ্য় হবে না, বুধবার এমনই এক অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য় বড় বেঞ্চ গড়তে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে, এই কোটায় পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট মেডিক্য়াল কোর্সে ইতিমধ্য়েই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায়, সেক্ষেত্রে এই নির্দেশ লাগু হবে না, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ।
*চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মারাঠা সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে মহারাষ্ট্র আইনকে চ্য়ালেঞ্জ করে আদালতে পিটিশন জমা পড়ে। ২০১৯ সালের জুনে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন জমা পড়ে আদালতে।
*চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে নিয়োগ না দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে শুনানি স্থগিত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য় সরকারের হয়ে সওয়ালকারী শীর্ষ আইনজীবী মুকুল রোহতগি ও পিএস পাতওয়ালিয়া বিচারপতি এল এন রাও, বিচারপতি হিমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চকে জানান যে রাজ্য় ইতিমধ্য়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও নতুন নিয়োগ হবে না।
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন পরিকল্পনায় 'পঙ্গু' হয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র, তোপ রাহুলের
বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের জারি করা লকডাউন নিয়ে একের পর এক তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। মোদীর ডাকা ২১ দিনের লকডাউনকে 'বিপর্যয়' তুল্য বলেও মনে করেন তিনি। এছাড়াও মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে যে অংসগঠিত ক্ষেত্র মৃত্যুমুখের সম্মুখীন হয়েছে এমনটাও জানিয়ে দেন সোনিয়া-পুত্র।
* 'লকডাউন কি বাত' সিরিজের শেষ ভিডিওতে রাহুল বলেন, "যখন কোনও কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন দিন মজুরেরা।"
* কংগ্রেস নেতা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা ২১ দিনের লড়াই। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে।"
अचानक किया गया लॉकडाउन असंगठित वर्ग के लिए मृत्युदंड जैसा साबित हुआ।
वादा था 21 दिन में कोरोना ख़त्म करने का, लेकिन ख़त्म किए करोड़ों रोज़गार और छोटे उद्योग।
मोदी जी का जनविरोधी 'डिज़ास्टर प्लान' जानने के लिए ये वीडियो देखें। pic.twitter.com/VWJQ3xAqmG
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 9, 2020
* কেন গরীবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা না পাঠিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছে মোদী সরকার সে বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
* এই লকডাউনের ফলে দেশের যুব সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থার কী অবস্থা তা নিয়েও মোদী-শাহের সরকারকে তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী।
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে