হঠাৎ করে নয়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের গত তিন মাসের 'ব্যাক চ্যানেল' দৌত্যেই ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হল। নিয়ন্ত্রণরেখা শান্তি ফেরাতে গত তিন মাস ধরেই পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপদেষ্টা মইদ ইউসুফের গোপনে আলোচনা চালান অজিত ডোভাল। কথা বলেন পাক সেনা প্রধান বাজওয়ার সঙ্গেও। তৃতীয় দেশে তাঁদের আলোচনাও হয়। সেই ‘ব্যাক চ্যানেল’ আলোচনাতেই আপাতত সুফল মিলল।
তবে, কোথায় দুই দেশের জীতায় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরে বৈঠক হয়েছিল তা জানানো হয়নি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর-সহ সরকারের শীর্ষস্তরের গুটি কয়েক আমলা ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানতেন বলে সূত্রের খবর।
যদিও এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন পাক নিরাপত্তা বিষয়ক বিষয়ে প্রদানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'এ ধরণের কোনও আলোচনা হয়নি। এই সব কথা ভিত্তিহীন।'
সূত্র জানাচ্ছে, পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে এখনই কোনও পক্ষ এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না।
আচমকাই জানানো হয় যে, ভারত-পাকিস্থান সীমান্তে কার্যকরসংঘর্ষ বিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ , সীমান্তে আর গোলা-গুলি চলবে না । দুই দেশই সহমতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরও করা হয়েছে। দুই বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল যৌথ বিবৃতিতে এই চুক্তির বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, 'পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিবেশির মত সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত আগ্রহী। কোনও কিছু ঘটলে আমরা সবসময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্য়া সমাধানের পক্ষপাতী।' সীমান্ত ইস্যুতে ভারত নিজেদের অবস্থান থেকে এক বিন্দুও সরে আসেনি বলে জোর দিয়ে জানিয়েছেন শ্রীবাস্তব। নয়া দিল্লি আগেই জানিয়েছে, 'একদিকে সন্ত্রাসে মদত, অন্যদিতে সান্তির আঐলোচনা একসহ্গে চলতে পারে না।'
এই প্রথম নয়, এর আগে ২০০৩ ও ২০০৯ সালে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান। যদিও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এবার দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলাতে সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে কিনা এখন সেদিকেই নজর থাকবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন