ফের গিলগিট-বাল্টিস্থান এলাকায় সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি বিরুদ্ধে সোমবার তীব্র প্রতিবাদ জানাল দিল্লি। এমনকী ওই অঞ্চলগুলিকে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছে তাঁদেরকে সেই এলাকা খালি করে দেওয়ার' কথা জানানও হয়।
সম্প্রতি একটি নির্দেশে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট গিলগিট-বালটিস্তানে সাধারণ নির্বাচন করার অনুমতি দেয়। যদিও ২০১৮ সালের আদেশানুসারে এই এলাকায় নির্বাচনের অনুমতিতে স্থগিতাদেশ ছিল। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গিলগিট এবং বাল্টিস্থান-সহ পুরো জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই পাকিস্তানকে অবশ্যই এই এলাকা খালি করে দিতে হবে।
বিবৃতিতে এও জানানও হয়, "পুরো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সমগ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি, গিলগিট এবং বাল্টিস্তান অঞ্চলগুলি সম্পূর্ণরূপে আইনিভাবেই ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ"। নিউ দিল্লির তরফে এও বলা হয়েছে যে পাকিস্তান আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করেই এই জায়গা দখল করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, "ভারত এই জাতীয় পদক্ষেপগুলি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের ভূখণ্ডের পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চলে পরিবর্তন আনার অব্যাহত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।"
সোমবার কিছুটা হুমকির সুরেই বলা হয় যে, "পাকিস্তানের অবিলম্বে উচিত যে সব জায়গা তাঁরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তা খালি করে দেওয়া।" কেন্দ্র থেকে আরও বলা হয়েছে যে পাক রাজধানী ইসলামাবাদ যেমন এই অঞ্চল 'অবৈধভাবে' দখল করে রাখতে পারবেন না তেমনই এই অঞ্চলে যারা সাত দশক ধরে বসবাস করছে "তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং স্বাধীনতাও কেড়ে নিতে" পারে না। গিলগিট-বাল্টিস্থানের বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে এও বলা হয় যে, "১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতিক্রমে একটি রেজোলিউশন পাস হয় এই বিষয়ে ভারতের কি অবস্থান থাকতে পারে তা নিয়ে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন