দুবাইতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু নিয়ে আলোচনার সময় জলবায়ু পরিবর্তনের এজেন্ডা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছে ভারত। তালিকা অনুসারে, ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে দারুণ পারফর্ম করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গ্লোবাল ক্লাইমেট সামিটে অংশ নিয়েছিলেন।
শুক্রবার সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারত। জলবায়ু পরিবর্তন কর্মক্ষমতা সূচকে ভারত সর্বশেষ অষ্টম স্থানে ছিল। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের কারণে ভারতের স্থান একধাপ এগিয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। তা সত্ত্বেও, এখানে মাথাপিছু নির্গমন তুলনামূলকভাবে কম। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ডেটা অনুসারে ভারত মাথাপিছু GHG বিভাগে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে বেঞ্চমার্ক স্পর্শ করতে চলেছে। এই চিত্রটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে এর গতি খুবই ধীর। তেল-গ্যাস এবং কয়লা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রধান উৎস। এটিও বায়ু দূষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যকারিতার ভিত্তিতে ভারত বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলির মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং G-20 দেশগুলির মধ্যে সেরা স্থানে রয়েছে ভারত। জার্মান ভিত্তিক জার্মান ওয়াচ নিউ ক্লাইমেট ইনস্টিটিউট এবং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রকাশিত ক্লাইমেট চেঞ্জ পারফরমেন্স ইনডেক্স (CCPI 2023) অনুসারে, ভারত সপ্তম স্থানে রয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ভাল।
আরও পড়ুন : < Premium: সুবজ পাহাড়ে ঘেরা ‘রানিঝর্ণা’, অনেক না পাওয়ার মাঝেও ‘স্বর্গোদ্যান’-এ ‘বিন্দাস’ কিস্কুরা >
এই বছরের ক্লাইমেট চেঞ্জ পারফরমেন্স ইনডেক্সে (সিসিপিআই) ভারত সপ্তম স্থানে রয়েছে, যা গতবারের চেয়ে এক স্থান ওপরে। শুক্রবার বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ক আলোচনা COP-28 চলাকালীন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। CCPI বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত দীর্ঘমেয়াদী নীতির সঙ্গে সঙ্গে তার নির্ধারিত জাতীয় অবদান অর্জনের চেষ্টা করছে, কিন্তু দেশের ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা এখনও কয়লা, গ্যাস এবং তেলের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।