/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/corona.jpg)
দেশের কোভিডগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।
হঠাৎ করেই করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমেই চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। এই আবহেই উদ্বেগ বাড়াল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের করোনা আপডেট। তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে দেশে বেড়েছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫০ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৫৫৮। তবে স্বস্তি দিয়ে এদিনও করোনামুক্তির হার ৯৮.৭৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৯৫৪ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা পজিটিভিটি রেট ০.৩১ শতাংশ। দেশের সাপ্তাহিক করোনা পজিটিভিটি রেট ০.২৭ শতাংশ।
দেশের অন্য অংশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকাগুলির পরিস্থিতি। গাজিয়াবাদ এবং গৌতম বুদ্ধ নগরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তর প্রদেশ সরকার শনিবার এনসিআর-এর সব জেলাকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই নির্দেশগুলি দিয়েছেন।
1,150 new COVID19 cases in India today; Active caseload currently at 11,558 pic.twitter.com/mbM95oEZJx
— ANI (@ANI) April 17, 2022
আরও পড়ুন- হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম ৬ পুলিশকর্মী
উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে দেওয়া ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা পর্যালোচনা নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের প্রতিবেশী অঞ্চলগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এর প্রভাব এনসিআর-এর জেলাগুলিতে দেখা যেতে পারে। তিনি এনসিআর-এর সব জেলাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫০ জন। তার মধ্যে রাজধানী দিল্লিতেই একদিনে আক্রান্ত ৪২৬ জন। যা গতকালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বিধি-নিষেধ চাপানোর ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে দিল্লির সরকার।
Read story in English