করোনার আঁধার পেরিয়ে সুস্থ হচ্ছে দেশ। শনিবার আরও কমল দৈনিক সংক্রমণ। স্বস্তি দিয়ে নিম্নমুখী করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। তবে মৃত্যুহার খানিকটা হলেও উদ্বেগে রেখেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। সংক্রমণ কমতে থাকায় গত ৩১ মার্চ থেকেই দেশে উঠে গিয়েছে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ। টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনামুক্তির পথে ভারত।
শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬০ জন। গতকালের চেয়ে এদিন আরও কমেছে সংক্রমণ। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৫। যদিও ইতিমধ্যেই ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৩২৬ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৮৩ জনের।
তথ্য বলছে, দেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২১ হাজার ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন স্বস্তি মিলেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যায়। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৪৫। দেশে করোনামুক্তির হার বর্তমানে ৯৮.৭৬ শতাংশ। করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট ০.২৪ শতাংশ, সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.২৩ শতাংশ। ইতিমধ্যেই দেশে ১৮৪ কোটিরও বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশজুড়ে সংক্রমণ কমতে থাকায় Covaxin টিকার উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দরাবাদের ওষুধ সংস্থা ভারত বায়োটেক। Covaxin ভারতে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত কোভিড ভ্যাকসিন এবং বর্তমানে এই টিকা ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেওয়া হচ্ছে।
CoWIN পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩০.৭৮ কোটি ডোজ Covaxin দেওয়া হয়েছে। সংস্থা প্রতি মাসে সরকারকে ৫ কোটি থেকে ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করত। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উৎপাদন কমানো হলেও টিকার গুণগত মানের কোনও বদল হবে না। যারা এখন টিকা নিচ্ছেন তাঁরাও টিকার শংসাপত্র পাবেন।
Read story in English