বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার বেড়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৮৭ জন। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ২৪৬। তবে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও বৃহস্পতিবার করোনা অ্যাক্টিভ কেস একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস কমে বর্তমানে ২ লক্ষ ৬ হাজার ৫৮৬।
উৎসবের মরশুমে বাড়ছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার সামান্য বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, একদিনে ফের নতুন করে করোনায় কাবু প্রায় ১৯ হাজার। করোনায় দেশে সুস্থতার হার ৯৮.০৭ শতাংশ। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ২০ হাজার ৭৩০। তবে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭০৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৪৩৫।
সংক্রমণে লাগাম টানতে জোরদার গতিতে দেশে চলছে টিকাকরণ অভিযান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে টিকর জোগান নিয়ে সমস্যা নেই। টিকাকরণে আরও বেশি গতি আনতে সবরকম ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজয় দশমীতে দেশজুড়ে আবারও একবার রেকর্ড টিকাকরণ করতে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় তুঙ্গে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ৯৬ কোটি ৮২ লক্ষ ২০ হাজার ৯৯৭ জনের টিকাকরণ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ৩৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৪৭ জন।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ভারত চলতি মাসে ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যত দ্রুত দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে, তত দ্রুত দেশের বাইরে চতুর্থ দফায় টিকার রফতানি নিয়ে বিবেচনা করবে ভারত।
আরও পড়ুন- অসুস্থ মনমোহন সিং, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় টুইট মোদীর
কেন্দ্রের এক প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে টিকার রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের কোনও চিন্তভাবনা নেই। টিকার উৎপাদনের দিকেই খেয়াল রাখা হচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি টিকার ডোজ থাকলে তবেই তা রফতানির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে কেন্দ্র।
Read full story in English