করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। বছর ঘুরলেও সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭,২৬২। মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। ২০২১-এ রেকর্ড ভাঙল সংক্রমণের। এখনও পর্যন্ত এবছরে এটাই সর্বাধিক। মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমিত হয়েছেন। ২৮,৬৯৯ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনেরও বেশি। ডিসেম্বর মাসের পর ফের শতাধিক মৃত্যু এই রাজ্যে।
মহারাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কর্ণাটক, গুজরাত, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের করোনা পরিসংখ্যান। আজ, বুধবারই হল দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার বর্ষপূর্তি। গত বছর দেশে এই দিন মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫২৫ জন। তবে গোটা বিশ্বে তখন ভয়াবহ আকার ধারণ করে ফেলেছে করোনাভাইরাস। গত বছর ১৫ মার্চ সংক্রমিতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ায় এবং দুসপ্তাহ পর ২৯ মার্চ সেই সংখ্যা ছাড়ায় ১০০০।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলায় করোনা পরিস্থিতি ফের ভয় ধরাচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় এমনই চিত্র ধরা পড়েছে। ধীর গতিতে হলেও বাড়ছে সংক্রমণ। যা বেশ চিন্তার। সংক্রমণের হার ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ১.৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৮ শতাংশ। এই তালিকায় রাজ্যের ১৯টি জেলা রয়েছে।
অন্যদিকে, ৪৫ বছর বয়সের বেশি বয়সী প্রত্যেককে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে করোনা টিকা দেওয়ার অনুমোদন দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার এই নির্দেশ ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “আমরা অনুরোধ করছি যোগ্য ব্যক্তিরা অবিলম্বে নিজেদের এই টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্টার করান এবং অবশ্যই টিকা গ্রহণ করুন।”