লাগাতার কমছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরেই করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। পাল্লা দিয়ে কমছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। দেশজুড়ে জোরদার গতিতে জারি থাকা টিকাকরণের সুফল মিলছে, এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৬ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৮ জনের। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই-ই আগের দিনের তুলনায় বেশ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৪ জন। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৫৯ হাজার ৪৪২। গতকালও এই সংখ্যাটা ৬৪ হাজারের কাছে ছিল।
এদিকে, দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কমছে সংক্রমণ। করোনার আঁধার পেরিয়ে রাজ্যে-রাজ্যে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার প্রয়াস জারি। উঠে গিয়েছে বিধি-নিষেধ। তবুও বাড়ির বাইরে বেরোলে এখনও বেশ কিছুদিন করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আরও পড়ুন- যুদ্ধবিরতিতে নিরাপদে বেরতে পারেননি ভারতীয়রা, পড়ুয়াদের ফেরাতে ‘সেফ করিডোর’ চায় ভারত
অন্যদিকে, করোনা নিয়ে নতুন একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে। সেই সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের করোনার ঝুঁকি অন্যান্যদের থাকে ১৫ গুণ পর্যন্ত বেশি। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির পরেও তাঁরা করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তামিলনাড়ুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সেই সঙ্গে এই সমীক্ষা বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার ওপরেও আলোকপাত করেছে।
তামিলনাডুর হেলথ অ্যান্ড প্রিভেন্টিভ মেডিসিনের প্রধান ডাঃ কে টি এস সেলভাভিনায়াগাম বলেন, ''কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত ডেটা এবং রক্তের অ্যান্টিবডি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেশে কোভিডের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু বয়স্কদের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করাটা একান্ত জরুরি। অনেকেরই বুস্টার ডোজ নেওয়ায় অনীহা রয়েছে। এই প্রবণতা ঝুঁকিপুর্ণ।''
Read story in English