পয়গম্বর হজরত মহম্মদের সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার মন্তব্যে তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তান আর তালিবানের আফগানিস্তান তো আছেই। আরব দেশগুলোর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক দেশের সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনও (ওআইসি) নুপুর শর্মার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। পালটা, ওআইসির মন্তব্যকে 'অনভিপ্রেত এবং নিম্নমনা' বলে সমালোচনা করেছে ভারত।
পয়গম্বরের বিরুদ্ধে মন্তব্যের পর ইতিমধ্যেই দলগতভাবে নুপুর শর্মা এবং নবীনকুমার জিন্দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিজেপি। দু'জনকেই সাসপেন্ড তথা বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই বলে ওআইসির সমালোচনাও গায়ে মাখতে নারাজ কেন্দ্র। উলটে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত একতরফা সমালোচনা শুনতে নারাজ। এই ব্যাপারে নয়াদিল্লির বক্তব্য, 'সংখ্যালঘুদের প্রতি পাকিস্তানের যা আচরণ, তাদের সমালোচনা সেই রকমই বিদ্রুপাত্মক।'
আরও তিনটি ইসলামিক দেশের সঙ্গে পাকিস্তানও সেদেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। রাষ্ট্রদূতের কাছে নুপুর শর্মার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই বিতর্কে মুখ খুলেছে বাহরিনও। কিন্তু, মুখ খুললেও দুই নেতাকে সাসপেন্ড করায় বিজেপির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বাহরিন। ভারত অবশ্য আলাদা করে কোনও দেশের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু, ওআইসির মন্তব্যে আর চুপ থাকেনি। ওআইসিতে মোট ৫৭টি ইসলামিক দেশ আছে। যার সদর কার্যালয় সৌদি আরবের জেড্ডায়। ওআইসির সাধারণ সম্পাদকমণ্ডলী নুপুর শর্মার মন্তব্য টেনে এনে ভারতের শাসক দল বিজেপির নিন্দায় সরব হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ফেসবুকে ব্যাপক দুর্নীতি, অবাধে চলছে ফেক অ্যাকাউন্ট, অভিযোগ পেয়েও হাত গুটিয়ে কর্মীরা
রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ওআইসি জানিয়েছে, 'ভারতের শাসক দলের একজন কর্মকর্তার নবী সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবমাননার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। এই সব মন্তব্য ভারতে ইসলামের প্রতি ঘৃণা বৃদ্ধির প্রমাণ। পাশাপাশি, মুসলিম সমাজের প্রতি জারি হওয়া বিধিনিষেধের অংশ। সম্প্রতি, ভারতের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এই মন্তব্য। ভারতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের সম্পত্তি নষ্টের ঘটনা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।'
পালটা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আমরা অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর বিবৃতি পড়েছি। ভারত সরকার ওআইসির এই অযৌক্তিক এবং সংকীর্ণমনা মন্তব্যকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
Read full story in English
নুপুর শর্মার মন্তব্যে ইসলামিক দেশগুলোর সমালোচনা, কড়া জবাব ভারতের
ওআইসিতে মোট ৫৭টি ইসলামিক দেশ আছে। যার সদর কার্যালয় সৌদি আরবের জেড্ডায়।
Follow Us
পয়গম্বর হজরত মহম্মদের সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার মন্তব্যে তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তান আর তালিবানের আফগানিস্তান তো আছেই। আরব দেশগুলোর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক দেশের সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনও (ওআইসি) নুপুর শর্মার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। পালটা, ওআইসির মন্তব্যকে 'অনভিপ্রেত এবং নিম্নমনা' বলে সমালোচনা করেছে ভারত।
পয়গম্বরের বিরুদ্ধে মন্তব্যের পর ইতিমধ্যেই দলগতভাবে নুপুর শর্মা এবং নবীনকুমার জিন্দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিজেপি। দু'জনকেই সাসপেন্ড তথা বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই বলে ওআইসির সমালোচনাও গায়ে মাখতে নারাজ কেন্দ্র। উলটে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত একতরফা সমালোচনা শুনতে নারাজ। এই ব্যাপারে নয়াদিল্লির বক্তব্য, 'সংখ্যালঘুদের প্রতি পাকিস্তানের যা আচরণ, তাদের সমালোচনা সেই রকমই বিদ্রুপাত্মক।'
আরও তিনটি ইসলামিক দেশের সঙ্গে পাকিস্তানও সেদেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। রাষ্ট্রদূতের কাছে নুপুর শর্মার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই বিতর্কে মুখ খুলেছে বাহরিনও। কিন্তু, মুখ খুললেও দুই নেতাকে সাসপেন্ড করায় বিজেপির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বাহরিন। ভারত অবশ্য আলাদা করে কোনও দেশের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু, ওআইসির মন্তব্যে আর চুপ থাকেনি। ওআইসিতে মোট ৫৭টি ইসলামিক দেশ আছে। যার সদর কার্যালয় সৌদি আরবের জেড্ডায়। ওআইসির সাধারণ সম্পাদকমণ্ডলী নুপুর শর্মার মন্তব্য টেনে এনে ভারতের শাসক দল বিজেপির নিন্দায় সরব হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ফেসবুকে ব্যাপক দুর্নীতি, অবাধে চলছে ফেক অ্যাকাউন্ট, অভিযোগ পেয়েও হাত গুটিয়ে কর্মীরা
রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ওআইসি জানিয়েছে, 'ভারতের শাসক দলের একজন কর্মকর্তার নবী সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবমাননার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। এই সব মন্তব্য ভারতে ইসলামের প্রতি ঘৃণা বৃদ্ধির প্রমাণ। পাশাপাশি, মুসলিম সমাজের প্রতি জারি হওয়া বিধিনিষেধের অংশ। সম্প্রতি, ভারতের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এই মন্তব্য। ভারতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের সম্পত্তি নষ্টের ঘটনা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।'
পালটা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আমরা অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর বিবৃতি পড়েছি। ভারত সরকার ওআইসির এই অযৌক্তিক এবং সংকীর্ণমনা মন্তব্যকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
Read full story in English