দেশে করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কিন্তু চিন্তায় ফেলেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৭ হাজার ১৭৮ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপশি গত সাত দিনে ভারতে মোট কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩হাজার ৮৭৩ জন। যা আগের সাত দিনের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৬৫হাজার ৬৮৩ জন । একদিনে করোনায় দেশে মৃত্যু হল ১৬ জনের। এখনও পর্যন্ত সরকারী হিসেবে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৪৫।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে ভারতে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা (COVID-19) রোগীর সংখ্যা। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে নতুন করে ১০ হাজার ২৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সপ্তাহে রোগী বৃদ্ধির হার ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা গত সপ্তাহে ছিল ৪.৭ শতাংশ। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা সেই তুলনায় অনেক কম রয়ে
এদিকে, ক্রমশ দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় দেশের সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পাশাপাশি দিল্লির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ তামিলনাড়ু , কেরল ,হরিয়ানা , মহারাষ্ট্র , রাজস্থান , কর্নাটক ও দিল্লির মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব ও সচিবদের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
নয়া স্ট্রেনের দাপটেই বাড়বাড়ন্ত করোনা ভাইরাসের। উপসর্গ (Symptoms) মৃদু হলেও প্রাণ হারাচ্ছেন প্রবীণ ব্যক্তিরা, সেই সঙ্গে যাদের কো-মর্বিডিটি (Co-Morbidity) আছে এমন মানুষ অর্থাৎ যাঁদের হৃদপিণ্ড, কিডনি, ফুসফুস, যকৃতের রোগ আছে তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধানতা মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, যারা এই নয়া স্ট্রেনের কবলে পড়ছেন তাদের মধ্যে ১-২ দিন ধরে জ্বর, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ ছাড়াও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। XBB.1.16 বা Arcturus ভেরিয়েন্ট তরুণদের অনেক বেশি সংক্রমিত করছে। এনিয়ে বিশেষ ভাবে সাবধানতা মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের কথায়, XBB.1.16 বা Arcturus ভেরিয়েন্ট অল্পবয়সীদের সংক্রামিত করছে এমন আবহে কোভিড বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এখনও যারা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি বিশেষ করে যদি আপনি অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে “টিকার বুস্টার ডোজ সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস , দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD), করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD), রোগীদের ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ ইত্যাদির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, এবং বুস্টার ডোজ সহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে টিকা নেওয়া উচিত।