দেশ জুড়ে ভয়ঙ্কর চোখরাঙানি! গতকালের পর আজ ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছুঁইছুঁই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০হাজার ৭৫৩ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। একই সঙ্গে মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ২৭ জন।
উদ্বেগ বাড়িয়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজারের গণ্ডি পেরোল। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩হাজার ৭২০। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.০১ শতাংশের কাছাকাছি। পাশাপাশি সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেটও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২৯ শতাংশ। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৭০ শতাংশ। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও বাড়-বাড়ন্ত অব্যাহত করোনার।
শুধু ভারত নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়াজুড়েই বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এদিকে বাড়তে থাকা করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে WHO, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) সোমবার দেশের জনগণকে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের মধ্যে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছে যে তাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে ওমিক্রন XBB.1.16 ভেরিয়েন্ট। ক্রমশ মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে আরও বেশি সংক্রামক করে তুলছে ওমিক্রনের এই ভেরিয়েন্ট। গত ১৫ মাসে ভারতে ওমিক্রনের চারশো নতুন সাব-ভেরিয়েন্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে, সমস্ত ভেরিয়েন্টের ৯০ শতাংশ হল XBB৷ XBB.1.16।
দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের মাঝে জনসাধারণকে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরা এবং সেই সঙ্গে যথাযথ কোভিড বিধি পালনে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবিষয়ে বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ সন্দীপ নায়ার জানিয়েছেন, দেশে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলেই নির্দেশ অবিলম্বে জারি করা উচিত।