দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। পাল্লা দিয়ে নামছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৬০ দিনের মধ্যে এদিনই দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস সর্বনিম্ন। দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাক্টিভ কেসে স্বস্তি মিললেও উৎসবের মরশুমে করোনা-মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫২৬ জনের।
লাগাতার বেশ কয়েকদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৩ জন। পাল্লা দিয়ে কমেছে অ্যাক্টিভ কেসও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, রবিবার দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৪৫। গত ২৬০ দিনের মধ্যে এদিনই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা সর্বনিম্ন। একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৩২ জন। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫৫ হাজার। করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯১ জন।
ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। রাজ্যে-রাজ্যে জোরদার গতিতে চলছে টিকাকরণ অভিযান। শনিবার পর্যন্ত ১০৮ কোটি ২১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৬৫ জনের টিকাকরণ হয়েছে। এদিকে, দেশের বেশ কিছু জেলায় টিকাকরণের গতি এখনও মন্থর। সেই জেলাগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকাদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বঙ্গে হিমেল পরশ, কবে থেকে জাঁকিয়ে পড়বে শীত?
টিকাদানের হারে পিছিয়ে দেশের বেশ কিছু জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই ডোর টু ডোর ভ্যাক্সিনেশনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। মোদী আরও জানান, স্থানীয় কিছু ধর্মগুরু প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে করোনা টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই এগিয়ে আসার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন