দীপাবলির দিনে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর একই জায়গায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত ১২ হাজার ৮৮৫। একদিনে করোনায় মৃত্যু ৪৬১ জনের। স্বস্তি করোনামুক্তিতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন।
সুস্থ হচ্ছে দেশ? উত্তরটা বলার এখনই সময় না এলেও সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আজও ১২ হাজারের ঘরেই রয়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই কথাই বলেছেন। করোনা এড়াতে দেশের যোগ্য প্রত্যেককেই যাতে টিকাকরণের আওতায় আনা যায় সেব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাদের উদ্যোগী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি দেশের ৪০ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই জেলাগুলিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজই পাননি ৫০ শতাংশ মানুষ। টিকার দ্বিতীয় ডোজও উল্লেখযোগ্যভাবে ওই জেলাগুলিতে বেশ কম। জেলাগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে টিকাকরণ অভিযান নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ‘হর ঘর দস্তক’ মন্ত্রের সঙ্গে যে বাড়িগুলিতে টিকার বেড়াজাল এখনও তৈরি হয়নি সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। আশা কর্মী-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য অনেক পথ হেঁটেছেন। আমরা ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ দিয়েছি। তবে এতে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এখন নতুন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের শেষ অবধি লড়াই করতে হবে।”
আরও পড়ুন- ‘সংক্রমণ কমতেই টিকা নেওয়ায় অনীহা বড় বিপদ ডাকতে পারে’, আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে দেশজুড়ে জারি রয়েছে টিকাকরণ অভিযান। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশের ১০৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪০ জনের টিকাকরণ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা টিকা পেয়েছেন ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার ৯২০ জন।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন