টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই জারি। করোনা যুদ্ধে জয়ের পথে ভারত। প্রতিদিন কমছে সংক্রমণ। সুস্থ হচ্ছে দেশ। রাজ্যে-রাজ্যে উঠছে বিধি নিষেধ। করোনার আঁধার পেরিয়ে ফের একবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন।
গত কয়েকদিনের মতোই লাগাতার নিম্নমুখী দেশের দৈনিক সংক্রমণ। এদিন সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪০৫ জন। যা গত কালের তুলনায় প্রায় তিন হাজার কম। সংক্রমণ হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.২৪ শতাংশে। দেশে মোট অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটা কমেছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৮.৩৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ২২৬ জন। ভারতে মোট করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪কোটি ২১লক্ষ ৫৮ হাজার ৫১০ জন।
এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৫.৪৬ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১.৭৯ কোটি বুস্টার ডোজ। সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা সংখ্যাও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৮লক্ষ ৩১ হাজার ৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এপর্যন্ত দেশে মোট ৭৬ কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় মোট সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ২১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫১০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৫ জনের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৪৪। গতকালের চেয়ে এদিন আরও কমেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৫। দেশে করোনার সংক্রমণের হার ১.২৪ শতাংশ। রাজ্যে রাজ্যে কমেছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭০ জন। পজিটিভিটি রেট কমে হয়েছে ১.০৪ শতাংশ। বাংলাতেও কমেছে সংক্রমণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড (COVID-19) পজিটিভ হয়েছেন ২০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। যা রবিবারের চেয়ে বেশ কম। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। এখানে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন।