সপ্তাহের প্রথম দিনের করোনা পরিসংখ্যান রীতিমতো স্বস্তি দিচ্ছে। দেশে দৈনিক সংক্রমণ কমার পাশাপাশি কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। স্বস্তি মিলেছে অ্যাক্টিভ কেসেও। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩০৬ জন। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ৪৪৩। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৯৫ জন। তবে এখনও কেরল নিয়েই চিন্তায় কেন্দ্র।
দেশজুড়ে উৎসবের মরশুম। রাজ্যে-রাজ্যে উৎসবকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। ইতিমধ্যেই আরও একদফায় রাজ্যগুলিকে এব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার তৃতীয় ধাক্কা নিয়ে আশঙ্কা এখনও রয়ে গিয়েছে। এই আবহে ফি দিন দৈনিক সংক্রমণের ওঠাপড়া লেগে রয়েছে। সোমবারের করোনা পরিসংখ্যান খানিকটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। গতকালের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। স্বস্তি অ্যাক্টিভ কেসেও। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৭৬২ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
অন্য রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কেন্দ্রের চিন্তা বাড়িয়েই চলেছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৪ হাজারের কিছু বেশি। তার মধ্যে শুধু কেরলেই নতুন করে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। কেরলের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। এরই পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কর্নাটকেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর শেষেই নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে বাংলায় করোনা সংক্রমিত ৯৮৯। এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও।
আরও পড়ুন- আজ দিনভর মেঘলা আকাশ, কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
দিন কয়েক আগেই দেশ টিকাকরণে সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই দেশের ১০০ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া গিয়েছে। তবে ডবল ডোজের টিকা নেওয়া থাকলেও মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো এখনও বিপজ্জনক। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্কের ব্যবহার অপরিহার্য একটি অভ্যাসে পরিণত করতে পরামর্শ চিকিৎসকদেরও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন