দিওয়ালির আগে দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির ওঠানামা জারি। গতকালের চেয়ে দৈনিক সংক্রমণে আজ বিশেষ ফারাক নেই। তবে এদিন করোনায় মৃতের সংখ্যা বেশ খানিকটা কমেছে। গতকাল করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৮০৫। আজ সেই সংখ্যা কমে ৫৪৯। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৪৩ জন।
প্রতিদিন ওঠানামা করছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৩ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু আরও ৫৪৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৫৪৩ জন করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন। এই মহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৫৫ জন। দেশে চলছে উৎসবের মরশুম। সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। দীপাবলিকে কেন্দ্র করে ভিড় বা জমায়েত দেশের সংক্রমণ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। আগেভাগেই এব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গোটা বিশ্বেই চলছে টিকাকরণ অভিযান। এদেশে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। তবে সম্প্রতি ল্যানসেট জার্নালের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ওই জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি টিকার দুটি ডোজ নিলেও তিনি ডেল্টা প্রজাতির বাহক হিসেবে কাজ করছেন। যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের সংক্রমিত করতে পারছেন ওই ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন- ‘টিকায় জব্দ নয় ডেল্টা!’ ডবল ডোজ গ্রাহকও সংক্রমিত করছে অন্যদের, দাবি ল্যান্সেটের
ল্যানসেটের সেই রিপোর্টে উল্লেখ, করোনার টিকার দুটি ডোজ নিলেও ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে। সেই ঝুঁকি কম হলেও অন্যকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখছেন তাঁরা। তবে যাঁরা টিকার কোনও ডোজই নেননি বা টিকার ডোজ যাঁদের অসম্পূর্ণ তাঁদের ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন