/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/cats-21.jpg)
নয়া স্ট্রেনের গুঁতোয় দেশে লাফিয়ে বাড়ল মৃত্যু
মঙ্গলবার সামান্য স্বস্তি দিলেও বুধবার ফের বাড়ল করোনার দাপট। সেই সঙ্গে অনেকটাই বাড়ল মৃতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬,৯০৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫৭। অ্যাকটিভ কেসে হার ০.৩০ শতাংশ। এর পাশাপাশি দৈনিক ইতিবাচক হার ৩.৬৮ শতাংশ। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৫১৯। গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বেড়েছে ১০০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে একদিনে মহারাষ্ট্রে নতুন করে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ২হাজার ৪৩৫ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। অন্যদিকে তামিলনাডুতেও বাড়ছে সংক্রমণ। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৮০ জন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ জন।
গতকাল দেশে প্রায় ১১ লক্ষের বেশি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে নমুনা পরীক্ষাতেও। একদিনে দেশে প্রায় ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ভারতে ১৬ জানুয়ারী, ২০২১ থেকে দেশব্যাপী কোভিড টিকাদান অভিযান শুরু করেছিল এবং তারপর থেকে ১৯৯.১২ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: <বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করবে বাংলার স্কুল পড়ুয়ারা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ>
COVID-19 | India reports 16,906 fresh cases, 15,447 recoveries, and 45 deaths in the last 24 hours.
Active cases 1,32,457
Daily positivity rate 3.68% pic.twitter.com/N0n7nPYStY— ANI (@ANI) July 13, 2022
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ভারত-সহ বিশ্বের ১০টি দেশে নতুন কোভিড স্ট্রেন BA.2.75-এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর জেরেই দেশগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই নতুন স্ট্রেন কতটা শক্তিশালী তা জানতে আরও কিছুদিন এই ভ্যারিয়েন্টকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
BA.4 এবং BA.5 ভ্যারিয়েন্টের প্রসঙ্গে হু প্রধান বলেন, এই দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকা দেওয়া এবং পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোরও আবেদন করেন তিনি। তিনি বলেন, টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে । টিকাহীনদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের টিকার আওতায় আনার পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেন তিনি।