দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি এসেছে। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ চলছে। এছাড়াও গত ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে করোনার বুস্টার ডোজের প্রয়োগ। টিকাকরণে গতির জেরেই সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৮ হাজার। গতকালের চেয়ে এই পরিসংখ্যান ২০ হাজার কম। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬২৮। দেশে করেনায় সুস্থতার হার ৯৪.০৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে এদিন বেশ কিছুটা বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৮৯১।
রাজ্যে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-সহ সমাজের বিশিষ্টরাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁর উপসর্গ মৃদু। বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
এদিকে, NTAGI-এর কোভিড -১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর এন কে অরোরা বলেছেন, ''ভারত মার্চ মাস থেকে ১২-১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারে। কারণ ততদিনের মধ্যে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।''
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের হাত ধরেই শেষ করোনা অতিমারি? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা!
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও বেশ উদ্বেগজনক। এদিকে, দিল্লিতে চলতি সপ্তাহে পরপর দু'দিন করোনাগ্রাফ নিম্নমুখী। তবে এক্ষেত্রে গত রবিবার কম সংখ্যক করোনা টেস্টকেই দায়ী করা হচ্ছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক কর্ণাটকেও। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের আশঙ্কা, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ শীর্ষে উঠতে পারে।
Read full story in English