বুস্টারেও মিলছে না রেহাই! সামান্য বিরতির পর বিরাট হাইজাম্প দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে। ফের হাইজাম্প অব্যাহত করোনার দৈনিক সংক্রমণে। বুধবারের পর আজও অব্যাহত দেশজুড়েই করোনার দাপট।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০হাজার ৫৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। গতকাল এই সংখ্যা ছিল আক্রান্ত (১৮,৩১৩ জন, মৃত্যু ৫৭ জনের)। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে দেশে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যাও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকালের থেকে অনেকটাই বেড়েছে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩২৩ জন। দৈনিক ইতিবাচক হার বেড়ে হয়েছে ৫.১৮ শতাংশ। সেই সঙ্গে সাপ্তাহিক ইতিবাচক হার ৪.৭১ শতাংশ। সুস্থতার হার সারা দেশে ৯৮.৪৭ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৯,২১৬ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকার ডোজ ২০.৩.২১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৪২,২০,৬২৫ টি কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
৪৪টি নতুন প্রাণহানির মধ্যে রয়েছে কেরলের ১২ জন, মহারাষ্ট্রের আটজন, পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন, দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর ও ত্রিপুরার প্রত্যেকে দুজন এবং ওড়িশা ও সিকিম, আসাম, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম থেকে একজন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাতেও অব্যাহত করোনার দাপট। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১,২৭৩ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৮.৫৫ শতাংশ। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.০২ শতাংশ। আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৯,৬২২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৭২ জন।
আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দুর্গাপুজো। করোনার জেরে গত দু’বছর মহা সমারোহে পুজোর আয়োজন করা যায়নি। তবে এবছর আবারও পুরনো মেজাজেই পুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। শহর কলকাতা তো বটেই জেলাগুলিতেও পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।
তবে এই আবহে উদ্বেগ জিইয়ে রেখেছে করোনা। ফি দিন শ’য়ে-শ’য়ে মানুষ রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এখনই সংক্রমণে আরও লাগাম পরানো না গেলে পুজোর ভিড়ে করোনা ফের একবার বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।