করোনার দৈনিক সংক্রমণের হাইজাম্প জারি। এক লাফে ২৩ হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সংক্রমণ বৃদ্ধির বহর দেখে এমনই আশঙ্কা স্বাস্থ্য কর্তাদের।
ফের একবার সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি দেশে। নতুন বছরের শুরুতেই একলাফে ২৩ হাজার ছুঁইছুঁই দেশের দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২২ হাজার ৭৭৫। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৪০৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৪৯ জন। এই মুহূর্তে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৮১। সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি। ডেল্টার মতো প্রাণঘাতী না হলেও ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩১। এখনও পর্যনত মহারাষ্ট্রেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। মারাঠাভূমে এখনও পর্যন্ত ৪৫৪ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৫১। তামিলনাড়ুতে ১১৮, গুজরাতে ১১৫ এবং কেরলে ১০৯ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
এদিকে শনিবার থেকেই CoWin পোর্টালে ১৫-১৮ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা গ্রহণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া বলেছেন, ''শিশুরা নিরাপদ থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ। পরিবারের সদস্যদের টিকা দেওয়ার জন্য যোগ্য শিশুদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।''
আরও পড়ুন- ‘কোমর্বিডিটি না থাকলে ওমিক্রন নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না’, আশ্বস্ত করলেন AIIMS প্রধান
গত কয়েকদিনে দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে গতকাল নতুন করে ৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে গতকাল ফের সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষ করোনায় কাবু হয়েছেন। একইভাবে রাজধানী দিল্লিতেও প্রায় ১৮০০ জনের কাছাকাছি নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণে লাগাম টানতে ফের একবার রাজ্যে-রাজ্যে জারি হয়েছে বিধি-নিষেধ। সংক্রমণ এড়াতে মাস্ককে অপিরহার্য সঙ্গী করতে বারবার আবেদন করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read full story in English