গতকালের চেয়ে সামান্য কমেছে সংক্রমণ। তবে তাতেও উদ্বেগ যাচ্ছে না। একটানা কয়েকদিন ধরেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ দু'হাজারের উপরে। দেশে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে কি দুয়ারে কড়া নাড়ছে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ? উত্তরটা এখনই স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েছে।
রবিবারের চেয়ে এদিন সামান্য কমেছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ জন। একদিনে নতুন করে দেশে করোনায় মৃত্যু ৩০ জনের। এরই পাশাপাশি এদিন বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ছিল ১৫ হাজার ৮৭৩। আজ সেই সংখ্যা সাড়ে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক করোনা পজিটিভিটি রেট ০.৮৪ শতাংশ।
দেশের অন্য রাজ্যগুলির সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর সন্তোষজনক হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজধানী দিল্লি। রবিবার দিল্লিতে ফের হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এই মুহূর্তে দিল্লির করোনা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৪.৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে। নতুন করে হাজারের বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ধরলে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৭৬। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ১৬৮ জনের।
এদিকে, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছতেই সতর্ক লাগোয়া উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানাও। এই দুই রাজ্যই দিল্লির সীমানা লাগোয়া। রাজধানীতে করোনার সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দুই রাজ্যের দিল্লি লাগায়ো এলাকাগুলিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসঙ্গে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারেও বারবার আবেদন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
নতুন করে ফের একবার করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকারও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার বলেন, ''অন্য সব কিছুর মাঝেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলি মেনে চলুন।''
Read story in English