দেশে দৈনিক সংক্রমণের হাইজাম্প। দু'দিন পর এক ধাক্কায় দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল প্রায় ৪৫ হাজার। বেড়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।
বুধবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৪৪১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৫৭ জন। এই মুহূর্তে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৩১ হাজার। পজিটিভিটি রেট ১৫.৩১ শতাংশ। রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে এই মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৯৬১। গতকালের চেয়ে এদিন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ০.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে, করোনা জব্দে জারি টিকাকপরণ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই দেশের ১৫-১৮ বছর বয়সীদের ৫০ শতাংশেরও বেশি কিশোর-কিশোরীকে টিকার প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়েছে। কিশোর-কিশোরীদের টিকাদান দ্রুত গতিতে এগোনয় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার টুইটে মোদী লিখেছেন, ''তরুণ এবং তরুণ ভারত পথ দেখাচ্ছে! এটি একটি উত্সাহজনক খবর। আমাদের গতি বজায় রাখা যাক।"
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া বলেন, ''কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের জন্য বড় দিন! আমাদের ১৫-১৮ বছর বয়সীদের ৫০ শতাংশেরও বেশি টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। টিকা দেওয়ার জন্য আপনাদের উৎসাহ ভারতের মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে।''
করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার। ফের একবার এই সওয়াল বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদর পুনেওয়ালার। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কোভিড ভ্যাকসিন আর কোনও বড় বাধা নয়। উৎপাদন শুরুর প্রথম দিকে চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য সেভাবে না থাকলেও এখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আমাদের হাতে রয়েছে।' গত বছরের তুলনা টেনে তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় আমরা এখন অনেক ভালো জায়গায় রয়েছি।
Read full story in English