করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমেছে। স্বস্তি দিয়ে এদিন আরও কমেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। তবে এসবেও উদ্বেগ কাটছে না। ঘুম কাড়ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। সোমবার দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে আরও পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলল। সব মিলিয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে গেল।
ভাইরাসের নয়া প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কের আবহে দেশের গত কয়েকদিনের করোনা পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোন আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৩ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ১৩২ জনের। নতুন করে সংক্রমিতের পাশাপাশি সুস্থও হচ্ছেন অনেকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৭৭ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। গতকালের চেয়ে এদিন আরও কমেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ৮২ হাজার ২৬৭ জন। করোনা সক্রিয় রোগীর এই পরিসংখ্যান গত ৫৭২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
দৈনিক সংক্রমণ কমলেও আতঙ্ক কাটছে না। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক সর্বত্র। দেশের একাধিক রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কর্নাটকে আরও পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন- করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলায় টিকা তৈরিতে বদল আনা হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে ৫৪, দিল্লিতে ২২, রাজস্থানে ১৭ কর্নাটকে ১৯, তেলেঙ্গনায় ২০, গুজরাতে ১১, কেরলে ১১, অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, তামিলনাড়ুতে ১ জন করে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই ৪ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ২-৩ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন AIIMS অধিকর্তা ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। ওমিক্রন কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলতে পারে এই সময়ের মধ্যেই, এমনই মনে করেন ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। ভাইরাসের নয়া প্রজাতির মোকাবিলায় করোনার টিকা তৈরির ক্ষেত্রেও কিছু বদল আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডক্টর গুলেরিয়া।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন