ফি দিন ওঠানামা করছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। ওটানামা করছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। গতকালের চেয়ে এদিন করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দুই বেড়েছে। তবে খানিকটা হলেও কমেছে করোনা অ্যাক্টিভ কেস। উদ্বেগ বহুগুণে বাড়াচ্ছে ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। গতকাল পর্যন্ত দেশে সাড়ে তিনশো ছাড়িয়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ওমিক্রন হানায় কাবু বেড়ে ৪১৫।
করোনা থেকে স্বস্তি নেই। লাগাতার ওঠানামা জারি সংক্রমণ পরিস্থিতির। শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭ হাজার ১৮৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ৩৮৭। সব মিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫২০।
ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ২৩ হাজার ২৬৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৮৬ জন। দেশে বর্তমানে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৩২। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জারি টিকাকরণ কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৪১ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪১৫। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে ভাইরাসের নয়া এই প্রজাতি। সম্প্রতি ওমিক্রন আক্রান্ত ১৮৩ জনকে নিয়ে একটি বিশ্লেষণ চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বিশ্লেষণের রিপোর্ট চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট।
আরও পড়ুন- শুধু ভ্যাকসিনেই রেহাই নেই, ওমিক্রন-সংক্রমণ এড়াতে মানতেই হবে কোভিড-বিধি
দেখা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের ৯ জনই করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন। এই বিশ্লেষণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নিলেই রেহাই নেই। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে বাড়ির বাইরে পা রাখলে নিয়মিত মাস্ক পরা জরুরি। করোনা এড়াতে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতেই হবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে চালানো বিশ্লেষণের এই রিপোর্টটি পেশ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। রিপোর্টে উল্লেখ, ওমিক্রন আক্রান্ত ২৭ শতাংশ রোগীরই বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। স্বাভাবিকভাবে অন্য কারও থেকে তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের তত্ত্বও ওড়ানো যাচ্ছে না।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন