গতকালের তুলনায় সামান্য কমল সক্রমণ। তবে মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কপালে। শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে একদিনে দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ৭হাজার ৫৩৩ জন। সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে হয়েছে ৫৩,৮৫২
অন্যদিকে দেশে একদিনে ৪৪টি মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩১,৪৬৮ হয়েছে, যার মধ্যে কেরলের একদিনে মারণ ভাইরাসের বলি ১৬। দৈনিক ইতিবাচকতার হার ৪.০৮ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার ৫.৩৬ শতাংশ। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪.৪৯ কোটি। এর পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.১৮ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে। মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের অধীনে এ পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনের ২২০.৬৬ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
নয়া স্ট্রেনের দাপটেই বাড়বাড়ন্ত করোনা ভাইরাসের। উপসর্গ (Symptoms) মৃদু হলেও প্রাণ হারাচ্ছেন প্রবীণ ব্যক্তিরা, সেই সঙ্গে যাদের কো-মর্বিডিটি (Co-Morbidity) আছে এমন মানুষ অর্থাৎ যাঁদের হৃদপিণ্ড, কিডনি, ফুসফুস, যকৃতের রোগ আছে তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধানতা মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, যারা এই নয়া স্ট্রেনের কবলে পড়ছেন তাদের মধ্যে ১-২ দিন ধরে জ্বর, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ ছাড়াও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। XBB.1.16 বা Arcturus ভেরিয়েন্ট তরুণদের অনেক বেশি সংক্রমিত করছে। এনিয়ে বিশেষ ভাবে সাবধানতা মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের কথায়, XBB.1.16 বা Arcturus ভেরিয়েন্ট অল্পবয়সীদের সংক্রামিত করছে এমন আবহে কোভিড বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।