গতকালের চেয়ে এদিন আরও কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। কমেছে সংক্রমণ হারও। বেশ কয়েকটি রাজ্যের কোভিড-গ্রাফও নিম্নমুখী। সংক্রমণ কমতেই একাধিক রাজ্য করোনা নিয়ন্ত্রণে জারি থাকা বিধি-নিষেধ শিথিলের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রেও আরও সাবধানী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বুধবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার ১০৯ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ১১ হাজার ৩০৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ৬০৩। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গতকালের চেয়ে এদিন দেশে সংক্রমণের হারও কমেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ৯.২৬ শতাংশ।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জারি টিকাকরণ কর্মসূচি। গতকাল পর্যন্ত দেশে ১৬৭ কোটি ২৯ লক্ষেরও বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তবে টিকা নেওয়ার পরেও অনেকেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি কেরলে একটি সমীক্ষা হয়েছে। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের পরপর ১০ দিন কেরলে নতুন করে যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ৬০ শতাংশেরই টিকার দুটি ডোজ নেওয়া ছিল। সুতরাং টিকা নিলেও সংক্রমণ এড়ানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- কেরলে দৈনিক আক্রান্তের ৬০ শতাংশেরই সম্পূর্ণ টিকাকরণ, তথ্য ঘিরে উদ্বেগ
তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত কিন্তু খুবই স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, টিকা নেওয়ার পরে সংক্রমিত হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু তাঁদের উপসর্গ থাকছে মৃদু বা অনেকেই উপসর্গহীন থাকছেন। টিকা নেওয়ার জন্যই ভাইরাস তাঁদের বেশি মাত্রায় কাবু করতে পারছে না।
টিকা নিয়ে কেউ করোনা আক্রান্ত হলেও দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ রোগী। দেশজুড়ে ব্যাপক হারে টিকাকরণ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাণহানি ও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার মতো প্রবণতা অনেক কমিয়ে দিয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।