ভারত-চিন সীমান্তের উত্তাপে নতুন মাত্রা। জরুরি ভিত্তিতে আমেরিকার কাছ থেকে সেনার জন্য শীতের পোশাক কিনেছে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না চিন। লাদাখের বিভিন্ন অংশে মুখোমুখথি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের বাহিনী। এই অবস্থায় অধিক উচ্চাতায় শীতের সময় যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে ভারতীয় সেনাদের। তারই প্রস্তুতি হিসাবে আমেরিকার ছেতে এই শীত পোশাক কেনার তোড়জোড় নয়াদিল্লির। সীমান্ত উত্তেজনার মাঝে যা বেজিংকে দিল্লির তরফে বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৬ সালের আগাস্টে ভারত ও আমেরিকার সেনার মধ্যে সাক্ষরিত ‘দ্য লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম এগ্রিমেন্ট’ এর আওতায় এই পদক্ষেপ হচ্ছে। এই চুক্তি অনুসারে, অস্ত্র, জ্বালানি, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক প্রভৃতির অংশ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ভারত ও মার্কিম সেনা বাহিনী একে অপরের থেকে নিতে পারবে।
গালওয়ান সংঘর্ষের পর সীমান্ত উত্তাপের রেশ অব্যাহত। সামান্য হেরফের ছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে লাল-ফৌজ প্রত্যাহার করেনি চিন। পাল্টা শীতে অধিক উচ্চতা থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় ভারতও। কী ভাবে শীতে প্রচন্ড ঠান্ডায় অধিক উচ্চতায় সেনা মোতায়েন করে রাখা যায় তা নিয়ে গত মে-জুন মাসেই বৈঠকে করেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সেনার কম্যান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে একটি নীল নকশাও তৈরি করা হয়েছিল। সেইমতোই সেনা মোতায়েনের কাজ এগোচ্ছে। সরঞ্জাম ও রসদ যোগানের বিষয়টি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
এতদিন সেন জওয়ানদের জন্য শীতের পোশাক ইউরোপ ও চিনের কাছ থেকেই কিনত ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ পোক্ত হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই আমেরিকার থেকে সেনাদের গরম পোশাক কিনছে ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার দ্বিতীয় শীর্ষ আধিকারিক এস কে সাইনি সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে সেখানে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাতেও আমেরিকার তৈরি শীত পোশাক পরে যুদ্ধ করতে পারবেন জাওয়ানরা। শুধু সামরিক অস্ত্র নয়, চিনা বাহিনীকে টক্কর দেওয়ার জন্য প্রস্তরত উপযুক্ত বাহিনীও।চলছে মহড়া।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন