ডিআরডিও-র প্রতিশ্রুতি পেয়ে ইজরায়েলি সংস্থা রাফায়েল অ্যাডভান্স ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল করল ভারত। ডিআরডিও জানিয়েছে, আগামী দু-বছরের মধ্যে তারা বিকল্প ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে। এই চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলকে চুক্তি বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। ডিআরডিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা ভিইএম টেকনোলজিস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে একই ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একটি ম্যান-পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল বা এমপিএটিজিএম তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে। ডিআরডিও জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে আহমেদনগরে সফলভাবে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ হয়ে গিয়েছে।
তবে সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, ডিআরডিও আদৌ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরির কাজ শেষ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বাহিনীর অন্দরে। কিন্তু মূলত সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ডিআরডিও-র প্রতিই ভরসা করতে চাইছে।
আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত বছর রাফায়েলের থেকে স্পাইক মিসাইল কেনার কথা থাকলেও ভারত পিছিয়ে এসেছিল, কারণ সরকার রাফালে বিতর্কের পুনরাবৃত্তি চায়নি। সেই সময় যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, পাকিস্তান সীমান্তের গরম আবহাওয়ায় ওই মিসাইলগুলি ঠিক থাকবে কিনা তা নিয়ে বিশদ পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দল কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফরাসী যুদ্ধবিমান রাফাল কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল।
ইজরায়েলের সঙ্গে ২০১৪ সালের অক্টোবরে ভারত ৩২১টি স্পাইক লঞ্চার এবং ৮৩৫৬টি মিসাইল কেনার চুক্তি করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে ওই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়। পরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভারত সফরের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। ফের ডিআরডিও-কেই ভরসা করল ভারত সরকার।