গতকালের তুলনায় সামান্য কমল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০,০৯৩ জন। শনিবার, এই সংখ্যা ছিল ১০,৭৫৩ টি। যেখানে শুক্রবার ১১,১০৯টি এবং বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ১০,১৫৮টি। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও চিন্তা ধরাচ্ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭,৫৪২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৬,২৪৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডেটা অনুসারে গত ২৪ঘন্টায় মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন, ২৩ জন। দেশে মৃত্যুহার ছুঁয়েছে ১.১৯শতাংশে। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৩১,১১৪। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১ লক্ষ ৭৯ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে, দিল্লিতে শনিবার একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯৬ জন। পজিটিভিট রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.১৯ শতাংশ, যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
শুধু ভারত নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়াজুড়েই বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এদিকে বাড়তে থাকা করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে WHO, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) সোমবার দেশের জনগণকে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের মধ্যে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছে যে তাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে ওমিক্রন XBB.1.16 ভেরিয়েন্ট। ক্রমশ মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে আরও বেশি সংক্রামক করে তুলছে ওমিক্রনের এই ভেরিয়েন্ট। গত ১৫ মাসে ভারতে ওমিক্রনের চারশো নতুন সাব-ভেরিয়েন্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে, সমস্ত ভেরিয়েন্টের ৯০ শতাংশ হল XBB৷ XBB.1.16।
দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের মাঝে জনসাধারণকে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরা এবং সেই সঙ্গে যথাযথ কোভিড বিধি পালনে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবিষয়ে বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ সন্দীপ নায়ার জানিয়েছেন, দেশে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলেই নির্দেশ অবিলম্বে জারি করা উচিত।